আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোলশূন্য ডার্বি। সুপার কাপের সেমিফাইনালে চলে গেল ইস্টবেঙ্গল। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় শেষ চারে যেতে ড্র করলেই হত লাল–হলুদকে। আর মোহনবাগানকে জিততে হত। কিন্তু ফতোদরায় ডার্বি গোলশূন্য ড্র হল। গোটা প্রথমার্ধ জুড়ে দাপট ছিল ইস্টবেঙ্গলের। বিপিনের হেড পোস্টে না লাগলে এগিয়ে যেতে পারত অস্কার ব্রুজোর দল। দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান বেশি আক্রমণ করলেও গোল করতে ব্যর্থ।
তবে মোলিনার গেম প্ল্যান নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। যে ম্যাচে জিততেই হবে সেই ম্যাচে আক্রমণের কোনও পরিকল্পনাই দেখা গেল না বাগানের খেলায়। অন্তত প্রথমার্ধে তো বটেই।
জিততেই হবে সেই ম্যাচে সামনে শুধু ম্যাকলারেনকে রেখে শুরু করলেন মোলিনা। উঁচু বলে খেলতে লাগল বাগান। দিশাহীন ফুটবল। ম্যাকলারেনকে নড়তেই দিল না লাল–হলুদ ডিফেন্স। জেসন কামিংস, দিমিত্রি পেত্রাতোস, রবসন রোবিনহোদের নামালেন একেবারে শেষের দিকে। তখন আর কিছু করার ছিল না। উল্টোদিকে ইস্টবেঙ্গলের খেলায় বৈচিত্র চোখে পড়ছিল। দুই প্রান্ত ধরে ক্রমাগত আক্রমণে উঠছিল তারা। মাঝমাঠে রশিদ ও মিগুয়েল ফিগুয়েরা ভাল খেলছিলেন। ২৪ মিনিটের মাথায় মিগুয়েলের ক্রসে বিপিনের হেড পোস্টে লেগে ফেরে। নইলে এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল।
চাপে পড়েও পরিকল্পনা বদলাননি মোলিনা। মোহনবাগানের খেলা মাঝমাঠেই শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তার মাঝেই দু’এক বার প্রতিআক্রমণে ওঠে তারা। কিন্তু লাভ হয়নি। বরং বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথকে প্রথমার্ধে কয়েক বার কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। বিরতির ঠিক আগে মিগুয়েলের জোরালো শট আটকে দেন বিশাল।
বিরতির পর আক্রমণের ঝাঁজ কিছুটা বাড়ায় মোহনবাগান। ফলে সুযোগ আসছিল। তখন ইস্টবেঙ্গল কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে তার মাঝেই বক্সের মধ্যে অরক্ষিত অবস্থায় বল পান হামিদ। সামনে একা গোলরক্ষক বিশাল ছিলেন। সেখান থেকেও গোল করতে পারেননি। এরপর গোল পেতে কামিংস, পেত্রাতোস, রবসনকে নামান মোলিনা।
বিদেশিরা নামার পর বাগানের আক্রমণ আরও কিছুটা বাড়ে। ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন কামিংস। তাঁর শট আটকে যায়। ফিরতি বল পান রবসন। তাঁর শটও বার উঁচিয়ে বেরিয়ে যায়। ম্যাচে সেটাই মোহনবাগানের সবচেয়ে ভাল সুযোগ ছিল। শেষমেশ গোলশূন্য ড্র হল ডার্বি। লাল–হলুদ গোল পার্থক্যে এগিয়ে চলে গেল শেষ চারে। বাগানকে নিতে হল বিদায়।
