আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিচন্দ্রন অশ্বিনের আচমকা অবসরের ঘোষণায় অবাক প্যাট কামিন্স। টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলারের তালিকায় থেকে যাবেন ভারতীয় স্পিনার। তবে ব্রিসবেন টেস্টের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্তে খানিকটা চমকেই যান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। প্যাট কামিন্স বলেন, 'আমি একটু অবাকই হয়েছি। ও ভারতের চ্যাম্পিয়ন প্লেয়ার। দশ বছরের ওপর একটানা খেলছে। অসাধারণ কেরিয়ার। আমাদের ড্রেসিংরুম ওকে অত্যন্ত সম্মান করে।' কোনও রাখঢাক না করেই কামিন্স জানিয়ে দেন, সিরিজের মাঝপথে অবসর ঘোষণার কথা কল্পনা করতে পারেননি তিনি। অশ্বিনের প্রশংসায় আরেক অজি গ্রেট ব্রেট লি। ভারতের তারকা স্পিনারকে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা প্লেয়ারের অ্যাখ্যা দেন। ব্রেট লি বলেন, 'ও ক্রিকেটের অন্যতম সেরাদের মধ্যে একজন। মনে হচ্ছে শেষবার সিরিজের মাঝপথে যদি কোনও স্পিনার অবসর নিয়ে থাকে, সেটা গ্রেম সোয়ান।'
সিরিজের মাঝে অশ্বিনের অবসরের সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নন সুনীল গাভাসকর। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ছাড়পত্র পেতে বাকি দুই টেস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিংবদন্তি মনে করেন, এর প্রভাব সিরিজের ওপর পড়তে পারে। ২০১৪-১৫ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে একই কাণ্ড করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির মাঝপথে অবসর ঘোষণা করেন। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মনে করেন, দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ারের এমন সিদ্ধান্ত দলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। গাভাসকর বলেন, 'ও বলতে পারত, এই সিরিজের পর আর আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলব না। ২০১৪-১৫ সিরিজে তৃতীয় টেস্টের পর অবসর নেন ধোনি। তাতে ক্ষতি হয় দলের। একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে একটা বিদেশ সফরের দল বাছাই করা হয়। চোট, আঘাতের সমস্যা হলে রিজার্ভ দল থেকে প্লেয়ার নেওয়া যায়। সিডনির উইকেট থেকে স্পিনাররা সাহায্য পায়। সেখানে ভারত দু'জন স্পিনার নিয়ে খেলতেই পারত। অশ্বিনের খেলার সম্ভাবনা ছিল। মেলবোর্ন পিচ সম্বন্ধে আমার ধারণা নেই। সাধারণত সিরিজ শেষেই এইধরনের সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়। সিরিজের মাঝপথে প্রত্যাশিত নয়।' পারথ, অ্যাডিলেড এবং ব্রিসবেন সাধারণত পেস সহায়ক। কিন্তু মেলবোর্ন এবং সিডনির পিচ থেকে সুবিধা পায় স্পিনাররা। শেষ দুই টেস্টের আগে অশ্বিনের অবসর নিঃসন্দেহে রোহিতের হাতে বিকল্প কমাল।
