আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ইডেনে পছন্দের পিচ পেয়েও হারতে হয়েছে। তাই প্রশ্নের মুখে টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। ইডেনের পিচ নিয়ে একপ্রস্থ বিতর্ক হয়েছে। পাশাপাশি দল নির্বাচনেও অনেকে খুশি নন। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা গম্ভীরের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট। কিন্তু ভিন্ন পথের পথিক সুনীল গাভাসকার। গম্ভীরের সুরে সুর মিলিয়ে সানির বক্তব্য, পিচ ভাল ছিল। ব্যাটারদের টেকনিক ও ধৈর্য্যে সমস্যা হয়েছে। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ভারতের কেন একজন তেম্বা বাভুমা ছিল না?


খেলা শেষে গম্ভীর জানিয়েছিলেন, ‘‌আমরা যেমন পিচ চেয়েছিলাম, তেমনই পেয়েছি। এখানকার কিউরেটর খুবই সাহায্য করেছেন। আমার মনে হয় না যে, উইকেট কঠিন ছিল। এই পিচেই যারা ধৈর্য দেখিয়েছে, তারা রান পেয়েছে। এই ধরনের পিচে ডিফেন্স পোক্ত রাখা জরুরি। তবে উইকেট যেমনই থাকুক না কেন, ১২৪ রান তাড়া করা সম্ভব ছিল। এই ধরনের উইকেটে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন হয়।’‌


সেই সুরেই গাভাসকার বলেছেন, ‘‌গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। এই পিচে ১২৪ রান তাড়া করা সম্ভব ছিল। এতে কোনও সন্দেহ নেই। অনেকেই পিচের অবস্থা নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু সাইমন হার্মারের কতগুলো বল টার্ন করছিল? এটা খারাপ পিচ ছিল না। এটা এমন একটা পিচ ছিল, যেখানে আপনাকে পাঁচ দিনের টেস্ট খেলছেন এই মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে। ৫০ ওভারের ম্যাচ বা টি–টোয়েন্টি নয়। সেখানে যদি তিনটি ডট বলের পরে আপনি চালিয়ে খেলার চেষ্টা করেন, তাহলে বিপদ। এটাই সমস্যা।’‌ 


এরপরেই সানির পাল্টা প্রশ্ন, ভারতের হয়ে কেউ একজন বাভুমার মতো খেলতে পারলেন না? প্রোটিয়া অধিনায়ক যেভাবে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে ৫৫ রান তুললেন, তা রীতিমতো শিক্ষণীয়। বিশেষ করে ‘স্পিন দুর্বল’ ভারতের তরুণ প্রজন্মের তো অবশ্যই দেখা উচিত। গাভাসকার বলেন, ‘‌ভারতীয় ব্যাটারদের কাছে তেম্বা বাভুমার উদাহরণ ছিল। আগের দিন কী হয়েছিল তা হয়তো অনেকে ভুলে গিয়েছেন। কিন্তু বাভুমা মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন। ধৈর্য্য, কৌশল এবং নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যাট করেছিলেন। অন্তত এটা মনে রেখে ভারতীয় ব্যাটারদের নামা উচিত ছিল।’‌