আজকাল ওয়েবডেস্ক: কয়েকদিন আগে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন এবং ক্লাবগুলোকে মেইল করে আইএসএল স্থগিত রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছে এফএসডিএল। এবার এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সুনীল ছেত্রী। জানান, ভারতীয় ফুটবলের এই অনিশ্চয়তায় তিনি চিন্তিত। পুরো ইকোসিস্টেম চিন্তিত এবং আতঙ্কিত। ভারত অধিনায়ক জানান, আইএসএলের ভবিষ্যৎ জানতে, ফোনের পর ফোন আসছে তাঁর কাছে। অনেকে তাঁকে মেসেজ করেও জানতে চেয়েছে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সুনীল লেখেন, 'আমার এখন ধার করা সময় চলছে। ট্যাঙ্কে কী বাকি আছে সেই নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। তবে বিভিন্ন প্লেয়ারের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, আমার সমস্যা এতটা গুরুতর নয়। বর্তমানে ভারতীয় ফুটবল যে জায়গায় আছে, খুবই চিন্তার বিষয়। আমি প্লেয়ার, স্টাফ মেম্বার, ফিজিও, ম্যাসিওরদের থেকে প্রচুর মেসেজ পেয়েছি। শুধু আমার ক্লাব থেকে নয়, অন্যান্য ক্লাব থেকেও। ভারতীয় ফুটবলের ইকোসিস্টেমে যারা রয়েছে, তাঁরা সবাই চিন্তিত। অনিশ্চয়তা নিয়ে সকলে উদ্বিগ্ন।
আইএসএল স্থগিত রাখার কথা যেদিন জানা যায়, সেদিন ছুটিতে ছিলেন সুনীল। তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া অবাক করার মতো ছিল। তারকা ফুটবলার জানান, এই খবর শুনে তিনি প্রথমে হেসেছিলেন। ছুটিতে ছিলেন বলে সেদিন খুব বেশি গুরুত্ব দেননি। সুনীল লেখেন, 'বলতে বাধ্য হচ্ছি, খবরটা শুনে আমি প্রথমে হেসে ফেলেছিলাম। কারণ আমি তখন ছুটিতে ছিলাম। সেখানে খুব বেশি নড়াচড়া করিনি। খাওয়া দাওয়াও নিয়ম মেনে করছি না। আমার হাতে অফুরন্ত সময় ছিল। তবে সেই পরিস্থিতি কেটে গিয়েছে। সেই হাসিও মিশিয়ে গিয়েছে। আমি জানি যারা দায়িত্বে আছে, তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করছে। নিশ্চয়ই আইএসএল দ্রুত শুরু করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে।'
অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরেছেন সুনীল। কিন্তু আকাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট পাননি। মাঝে কোচ বদল হয়েছে। বিদায় নিয়েছেন মানোলো মার্কুয়েজ। নতুন কোচের সন্ধানে ফেডারেশন। প্রসঙ্গত, ভারতীয় ফুটবল আরও অন্ধকারে। আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে আইএসএল। বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলছিল। সেটাই সত্যি হয়। গত শুক্রবার চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয় এফএসডিএল। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সহ আইএসএলে খেলা বাকি ক্লাবগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। ক্লাবগুলোকে চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে তাঁদের চুক্তি ৮ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। যার ফলে, সেপ্টেম্বরে আইএসএল শুরু হলেও, তার কয়েকদিনের মধ্যে চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। তারমধ্যে মাত্র এক তৃতীয়াংশ লিগ করা সম্ভব হবে। সুতরাং, এই পরিস্থিতিতে দেশের একনম্বর লিগ শুরু করা সম্ভব নয়।
