আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৬ বছর আগের সেই ভয়াবহ স্মৃতি আবার ফিরল। ইসলামাবাদে জেলা আদালতের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। এই পরিস্থিতিতে একদিনের সিরিজের মাঝেই শ্রীলঙ্কার অন্তত আট জন ক্রিকেটার দেশে ফিরে যেতে চান। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নকভি নিজে কথা বলছেন ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার কর্তাদের সঙ্গে।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা। তার পর দীর্ঘদিন পাকিস্তানে কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়নি। আবার সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানে আর খেলতে চাইছেন না শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচও। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তাঁরা। ফলে চাপে পিসিবি কর্তারা। কয়েকদিন পরই শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং জিম্বাবোয়েকে নিয়ে রয়েছে ত্রিদেশীয় টি–টোয়েন্টি সিরিজ। ইসলামাবাদে বিস্ফোরণের পর সেই সিরিজও এখন অনিশ্চিত।
শ্রীলঙ্কা দলের নিরাপত্তা বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী নকভি। তাতেও বিশেষ সুবিধা হয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা তাঁর আশ্বাসে সন্তুষ্ট নন। নকভি–সহ পাক ক্রিকেট কর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রীলঙ্কা দল এবং সে দেশের ক্রিকেট কর্তাদের সঙ্গে। কিন্তু আট ক্রিকেটার আর পাকিস্তানে থাকতে রাজি নন। শ্রীলঙ্কার কর্তারাও তাঁদের জোর করতে চাইছেন না। বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁরা কলম্বোয় ফিরে যেতে পারেন। ফলে পিসিবির সমস্যা আরও বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ইসলামাবাদের আদালতের সামনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ২৭ জন। সেই হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক–ই–তালিবান পাকিস্তান। ইসলামাবাদে হামলার সময়েই অবশ্য পাকিস্তান–শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে ম্যাচটি চলছিল। রাওয়ালপিন্ডির ওই ম্যাচে জিতে যায় পাক ব্রিগেড। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান–শ্রীলঙ্কা সিরিজ বাতিল হয়ে গেলে অস্বস্তি আরও বাড়বে পিসিবির।
