আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইডেনে ঐতিহাসিক জয়ের পর এবার সমালোচকদের একহাত নিলেন সাইমন হারমার। জয়ের জন্য ১২৪ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। কিন্তু দুর্দান্ত বোলিংয়ে টিম ইন্ডিয়াকে কুপোকাত করে দেয় প্রোটিয়া বোলাররা। মাত্র ৯৩ রানে শেষ হয়ে যায় ইনিংস। এই প্রসঙ্গেই এবার ভারতকে কটাক্ষ ম্যাচের নায়ক হারমারের। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ৯৩। প্রোটিয়া স্পিনার দাবি করেন, এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় মিডিয়া মনে করে, ম্যাচ তাঁদের পকেটে। তেম্বা বাভুমার অর্ধশতরান দক্ষিণ আফ্রিকাকে দেড়শোর গণ্ডি পার করতে সাহায্য করে। বাকি কাজটা বোলাররা সারে। এই নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার সমালোচনা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার।
হারমার বলেন, 'অনেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়েছিল। ভারতীয় মিডিয়া বলেছিল, খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। এইধরনের উইকেটে আমাদের একটা পার্টনারশিপ দরকার ছিল। যেভাবে তেম্বা ব্যাট করেছে, ওর টেম্পো, ও গেমপ্ল্যান নিয়েই নেমেছিল। তাই আমাদের একটা বিশ্বাস ছিল। আমরা দেড়শো রানের টার্গেট করছিলাম। তারপর নেমেই মার্কো দুটো উইকেট তুলে নেয়। শুভমন না থাকায়, বিনা রানেই তিন উইকেট হারায় ভারত। তখনই আমরা ভেবেছিলাম, আমাদের সুযোগ আছে। সবাই নিজেদের অবদান রেখেছে। টিমগেমেই জয়।'
দ্বিতীয় দিনের শেষে কঠিন পরিস্থিতি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। মাত্র ৯৩ রানে ৭ উইকেট হারায়। বাভুমা ছাড়া সব ব্যাটারই আউট হয়ে যায়। কিন্তু প্রোটিয়া স্পিনারের দাবি, তাসত্ত্বেও বিশ্বাস হারায়নি তাঁরা। হারমার বলেন, 'দ্বিতীয় দিনের শেষে আমাদের মধ্যে আলোচনা একটা চিপ এবং চেয়ারের মতো ছিল। টেবিলে এই দুটো থাকলে, সবসময় সুযোগ থাকে। পরের দিন সেটাই বাস্তবায়িত হয়। ভাবলে দেখা যাবে, আমাদের ড্রেসিংরুমে অনেকেই ছিল, যারা সাধারণত বিপরীত রেজাল্টের সাক্ষী থেকেছে। বিশেষ করে ভারতে। তাই ওরা খুবই উত্তেজিত ছিল। অক্ষর ছয় মারার সময় স্টেডিয়ামে যে উত্তেজনা ছিল, সেটা আমাদের চিন্তা কিছুটা বাড়িয়েছিল ঠিকই। তাও আমরা হাল ছাড়িনি। অফ স্পিনার হিসেবে কিছু পরিবর্তন পার্থক্য গড়ে দেয়। ব্যাটারদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে আমার ভাল লাগে। উপমহাদেশেই সেটা সবচেয়ে বেশি করা সম্ভব। তারমধ্যে ভারত একনম্বরে। কারণ বিশ্বের মধ্যে ভারতীয় ব্যাটাররা সবচেয়ে ভাল স্পিন খেলে।' শুক্রবার গুয়াহাটিতে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। বর্শাপাড়া স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়েও জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
