আজকাল ওয়েবডেস্ক: বড় বিপর্যয় নেমে এল বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসানের উপরে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত যে কোনও টুর্নামেন্টে তিনি আর বল করতে পারবেন না। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড আগে জানিয়েছিল, ইংল্যান্ডের কোনও টুর্নামেন্টে আর বল করতে পারবেন না বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। 
ইসিবির শাস্তির খাঁড়া নেমে আসার পরে আইসিসি-ও জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পরিচালিত কোনও প্রতিযোগিতায় শাকিব আর বল করতে পারবেন না। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারকে শাস্তি দেওয়ায় প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উপরে। কারণ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বল গড়ানোর কথা। তার আগে শাকিবের উপরে এমন শাস্তি নেমে আসায় বাংলাদেশের প্রস্তুতিতে বড় ব্যাঘাত ঘটবে। শাকিব কেবল ব্যাট ও ফিল্ডিং করতে পারবেন। এর বেশি কিছু করতে পারবেন না। কিন্তু শাকিবের কাছ  থেকে তো বোলিং চায় বাংলাদেশ। সেই বোলিংটাই করতে পারবেন না বাংলাদেশে তারকা অলরাউন্ডার। 
শাকিবের ক্রিকেট কেরিয়ার প্রায় দু'দশকের। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন তাঁকে কখনওই হতে হয়নি। ইসিবি এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, বোলিং অ্যাকশন নিয়ে পরীক্ষায় পাশ করার আগে পর্যন্ত  তাদের কোনও প্রতিযোগিতায় বল করতে পারবেন না শাকিব। এক বিবৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়কের বোলিং নিষিদ্ধ করার কথা জানায়।  

কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ডিভিশন ওয়ান-এর একটি ম্যাচ নিয়েই যত বিতর্ক। সেপ্টেম্বরে সেই ম্যাচের বল গড়িয়েছিল।  টুর্নামেন্টে মাত্র একটি ম্যাচেই নেমেছিলেন বাংলাদেশের তারকা। ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সেই সময়ে সারের ৮ জন ক্রিকেটার চলে গিয়েছিলেন। দুই স্পিনার উইল জ্যাকস ও ড্যান লরেন্সও ছিলেন না সারে দলে। 

এই একটি মাত্র ম্যাচের জন্যই সারের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন শাকিব। সেই ম্যাচে ৯টি উইকেট  শাকিব নিলেও ম্যাচটিতে হার মানে সারে। শাকিব ৬৩ ওভার বল করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে  ফিল্ড আম্পায়াররা তাঁর বোলিং বোলিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেননি। অবৈধ অ্যাকশনের জন্য নো বলও ডাকা হয়নি। কিন্তু  
দু' মাস পরে জানা যায়, শাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন সেই ম্যাচের দুই আম্পায়ার।