আজকাল ওয়েবডেস্ক: শারীরিক দিক থেকে ক্লান্ত ছিলেন। সেই কারণে সারের হয়ে ইংলিশ কাউন্টিতে বল করার সময়ে চাক করেছিলেন। তার ফলে বোলিং থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি শাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড পরিচালিত সমস্ত প্রতিযোগিতায় তাঁকে নিষিদ্ধ করা হয়।
শাকিবের ক্রিকেট কেরিয়ার প্রায় দু'দশকের। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন তাঁকে কখনওই হতে হয়নি। ইসিবি এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, বোলিং অ্যাকশন নিয়ে পরীক্ষায় পাশ করার আগে পর্যন্ত তাদের কোনও প্রতিযোগিতায় বল করতে পারবেন না শাকিব। এক বিবৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়কের বোলিং নিষিদ্ধ করার কথা জানায়।
এই একটি মাত্র ম্যাচের জন্যই সারের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন শাকিব। সেই ম্যাচে ৯টি উইকেট শাকিব নিলেও ম্যাচটিতে হার মানে সারে। শাকিব ৬৩ ওভার বল করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে ফিল্ড আম্পায়াররা তাঁর বোলিং বোলিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেননি। অবৈধ অ্যাকশনের জন্য নো বলও ডাকা হয়নি। কিন্তু
দু' মাস পরে জানা যায়, শাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন সেই ম্যাচের দুই আম্পায়ার।
শাকিবের উপরে নেমে এসেছিল শাস্তির খাঁড়া। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত যে কোনও টুর্নামেন্টে তিনি আর বল করতে পারবেন না, এমন নিয়মের জেরে শাকিবের উপরে নেমে এসেছিল শাস্তির খাঁড়া। ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার রিপোর্ট বলছে, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
একটি পডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাকিব বলেছেন, ''ইচ্ছাকৃতভাবেই আমি বল ছুড়েছি। কারণ আমি প্রায় ৭০ ওভার বল করেছিলাম। টেস্ট ম্যাচেও আমি ৭০ ওভার বল করিনি কখনও। সারের হয়ে চারদিনের ম্যাচ খেলছিলাম সমারসেটের বিরুদ্ধে। ম্যাচটা হচ্ছিল টনটনে। খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।''
তাঁর বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার আগে সতর্ক করা উচিত ছিল বলে মনে করেন শাকিব। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার বলছেন, ''পাকিস্তানে পর পর টেস্ট খেলেছি। সেই সিরিজ আমরা জিতেছি। তার পরে চারদিনের ম্যাচ খেলি। আমার মনে হয় আম্পায়ার আগে আমাকে ডেকে সতর্ক করতে পারতেন। তবে এটা নিয়মেই রয়েছে। ফলে অধিকার রয়েছে। আমি নালিশ করছি না।''
বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার এখন দেশছাড়া। বাংলাদেশের হয়ে তিনি এখন আর টেস্ট বা সাদা বলের ফরম্যাটে খেলেন না।
