আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনালের পিচ কেমন হবে? সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে একেবারে নতুন আনকোরা পিচে খেলা হবে না। আগের চারটে ম্যাচই নতুন উইকেটে খেলা হয়েছিল। কিন্তু ফাইনাল হবে ব্যবহৃত পিচে। তাই পিচকে 'সেমি ফ্রেশ' বলা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে যে পিচ ব্যবহার করা হয়েছিল, ফাইনালে সেই উইকেটেই খেলা হবে। ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৪ ওভারে ২৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ৪০ রানে ৩ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। হার্দিক পাণ্ডিয়া ২ উইকেট তুলে নেন। ম্যাচে ২৬ ওভার স্পিনারদের দিয়ে বল করান রোহিত শর্মা। ১২৯ রানে ৫ উইকেট পায়। জবাবে ৪২.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া। ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বিরাট কোহলি। শতরান করেন। শ্রেয়স আইয়ার এবং শুভমন গিল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন। 

এখনও পর্যন্ত চারটে আলাদা পিচ ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ফাইনালের পিচ টাটকা হবে না। তবে পাকিস্তানের ম্যাচের সঙ্গে ফাইনালের ১৪ দিনের গ্যাপ হওয়ায় এটাকে 'সেমি ফ্রেশ' পিচ বলা হচ্ছে। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোট দশটি পিচ আছে। তারমধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ম্যাচের জন্য চারটে পিচ ব্যবহার করা হয়েছে। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড উইকেট প্রস্তুত করছে। এখানকার পিচ কিউরেটর অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ স্যানডেরি। যিনি আইসিসি অ্যাকাডেমির পিচের দেখভালের দায়িত্বে আছেন। সাধারণত দুবাই স্টেডিয়ামের পিচ মন্থর। সাহায্য পাচ্ছে স্পিনাররা। ফাইনালেও আলাদা কিছু হবে না। স্পিন সহায়ক উইকেট। আশা করা যাচ্ছে, চার স্পিনারেই খেলবে ভারত। সেক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা পাবে ভারতীয় দল। চারটে ম্যাচই একই ধরনের পিচে খেলায়, পরিবেশ এবং পরিস্থিতি সম্বন্ধে অবগত। যদিও গৌতম গম্ভীর এবং রোহিত শর্মা সেটা মানতে নারাজ।