আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর উঁচু গলায় কথা বলছেন। একাধিক ভুল করার পরে কীভাবে তিনি বড় গলায় কথা বলতে পারেন? এটাই ঠিক বুঝতে পারছেন না ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর।
ভারতের হেডস্যরকে তাঁর পরামর্শ, গলার স্বর নামিয়ে কথা বলো। ম্যানচেস্টার টেস্ট ভারত বাঁচাতে পারবে কিনা, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন।
শেষমেশ ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল দুরন্ত শতরান করেন। সেঞ্চুরি হাঁকান রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দরও। সবার প্রচেষ্টায় ভারত ম্যাচ বাঁচিয়ে দেয়।
তার পরেই সাংবাদিক বৈঠকে গিয়ে গম্ভীর গলার স্বর চড়িয়ে তাঁর সমালোচকদের একহাত নেন। বলেছেন, শুভমান গিলের দক্ষতা নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা ক্রিকেট বোঝেন না।
আরও পড়ুন: গিলকে নিয়ে ট্রোলিংয়ের যোগ্য জবাব, সমালোচকদের মুখ সপাটে চড় গম্ভীরের
সাংবাদিক বৈঠকে গিয়ে গম্ভীরের এহেন জবাব পছন্দ হয়নি মঞ্জরেকরের। তিনি বলছেন, ''এটা পরিষ্কার কিছু প্রশ্ন ওকে বিব্রত করছে। বিশেষ করে লোক যখন তরুণ গিলের নেতৃত্ব ও ব্যাটিং দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করছেন, তখনই গম্ভীর চটে যাচ্ছে। প্রশ্ন তোলাটাই স্বাভাবিক। এমনকী যাঁদের ক্রিকেট সম্পর্কে জ্ঞান খুব ভাল, তারাও বিস্মিত এই সময়ে গিলের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হল কেন।''

মঞ্জরেকরের মতে, গম্ভীর একাধিক ট্যাকটিক্যাল ভুল করেছেন। কোচ একাধিক ভুল করলেও শেষমেশ ভারত কিন্তু ম্যাচ বাঁচাতে সক্ষম হয় লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্যাটিংয়ে।
গম্ভীরের সমালোচনা করে মঞ্জরেকর বলছেন, ''আমরা ভাবিছ, তুমি ভাবছ, বিষয়টা সেরকম নয়। আমরা সবাই একই ইন্ডাস্ট্রির এবং একই দেশের। আমি আশা করব গম্ভীর গলা নামিয়ে কঠিন প্রশ্নের মোকাবিলা করবে। আদৌ এমনটা হবে কিনা, তা নিয়ে আমি সন্দিহান।''
এর পরে মঞ্জরেকর ভারতের হেডস্যরের একাধিক ট্যাকটিক্যাল ভুলের প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে বলেছেন, ''গম্ভীরের একাধিক ট্যাকটিক্যাল সিদ্ধান্তে ভুলভ্রান্তি থাকা সত্ত্বেও ভারত কিন্তু বেশ ভাল খেলেছে। এটা মনে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০-এ সিরিজ হেরেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে হেরে এসেছে। সেখানে ইংল্যান্ডে ভারতীয় দল লড়ছে। কৃতিত্ব দেব খেলোয়াড়দের। ট্যাকটিক্যালি গম্ভীর কিন্তু ভুল করছে। বিশেষ করে কিছু সিদ্ধান্ত তো ভুলই নিয়েছে। গম্ভীর বলছে করুণ নায়ারকে বাদ দেওয়া হয়নি। অথচ সবাই দেখতেই পেয়েছে ওকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এসব যুক্তির কোনও অর্থ নেই।''

ম্যানচেস্টারে ভারত থামল চার উইকেট হারিয়ে ৪২৫ রানে। জাদেজা এবং ওয়াশিংটন পার্টনারশিপ গড়লেন ২০৩ রানের। গিল এবং রাহুল আউট হওয়ার পর ইংল্যান্ডের মনে যে সামান্য আশার প্রদীপ জ্বলেছিল তা সহজেই নিভিয়ে দিলেন দু'জনে। লর্ডসে যে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল এদিন ম্যাচ বাঁচিয়ে ভারত বুঝিয়ে দিল এখনও সিরিজ ফুরিয়ে যায়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে ০-২ হওয়ার পর দলের হাল ধরেছিলেন গিল এবং রাহুল। চতুর্থ দিনের শেষে তাঁদের পার্টনারশিপই ম্যাচে রেখেছিল ভারতকে। সমর্থকরা আশা করেছিলেন রবিবার তাঁরা দিনের বেশিরভাগ সময়টা ব্যাট করে বাঁচিয়ে দেবেন ম্যাচ। কিন্তু এদিন দিনের শুরুটা ভাল করলেও স্টোকসের একটা বিষাক্ত বল পিচে পড়ে সোজা কেএল রাহুলের প্যাডে লাগে। তিনি আর ফিরেও তাকাননি, সোজা হাঁটা দেন ডাগ আউটের দিকে। তার পরে বাকি কাজটা সারেন শুভমান গিল, রবীন্দ্র জাদেজা ও ওযাশিংটন সুন্দর।
আরও পড়ুন: ওভালে না থেকেও থাকবেন পন্থ, তাঁর বার্তায় উজ্জ্বীবিত সাজঘর, কী বললেন ভারতের তারকা কিপার?
