আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঋষভ পন্থ নতুন ভূমিকায়। ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল অবসৃত হওয়ার পরে ফিল্ডিং সাজানো থেকে শুরু করে বোলারকে লেন্থ ধরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেন উইকেটকিপার। 

মার্কো ইয়ানসেন পালটা মারের খেলা শুরু করতে গিয়েছিলেন। এই পিচে কাউন্টার অ্যাটাক না করলে বাঁচা সম্ভব নয়। সেই কারণে ইয়ানসেন আক্রমণের রাস্তা নেন। শেষ সেশনে পন্থ উইকেটের পিছন থেকে ক্রামগত নির্দেশ দিতে থাকেন। আর তার ফলশ্রুতিই উইকেট।  কুলদীপ যাদবকে পরামর্শ দিয়ে পন্থ বলছিলেন, অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন করতে। স্টাম্প মাইক্রোফোনে পন্থকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''কেডি, দুটো বল এদিকে দিয়ে  করে দে প্লিজ...।''পন্থের কথামতো দিক পরিবর্তন করেন কুলদীপ। আর তার সঙ্গে সঙ্গে উইকেটও পান। ইয়ানসেন স্লগ সুইপ মারতে গিয়েছিলেন। টপ এজ হয়ে যায়। কেএল রাহুল নিজের বাঁ দিকে লাফিয়ে ক্যাচটা  ধরেন। পন্থের প্রতিক্রিয়া বলে দিচ্ছিল সবটা। 

পাঁচ দিনের পরিবর্তে কলকাতা টেস্ট হয়তো তিন দিনেই শেষ হতে চলেছে। ইডেন টেস্ট যে ভারত জিততে চলেছে, সেই গন্ধ ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে ভারতের সাজঘরে। তৃতীয় দিনেই হয়তো প্রোটিয়া-নিকেশ শেষ হয়ে যাবে ভারতের। ভারতে এসে চিরকালই দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যর্থ হয়েছে। এবারও যে সেটাই হতে চলেছে তা পরিষ্কার। 
যতই প্রোটিয়া ব্রিগেড টেস্ট ফরম্যাটে বিশ্বশাসন করুক, যতই তারা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী হোক, ভারত ভূমিতে কিছু করা খুবই কঠিন তাদের পক্ষে। ইডেনে সেটাই দেখা গেল। 

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ১৫৯ রান। ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৮৯ রানে। ভারত তিরিশ রানে এগিয়ে থাকে প্রথম ইনিংসে। প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসে ভাঙন ধরান রবীন্দ্র জাদেজা। তিনিই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারদের সামনে মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে হাজির হন। 

প্রোটিয়াদের ইয়ানসেনের পেস ও হারমারের স্পিনে ভারত কুপোকাৎ হয়। ভারতীয় ইনিংসে লোকেশ রাহুল (৩৯) সর্বোচ্চ রান করেন। পেস ও স্পিনের সঙ্গে সন্ধি করতে না পেরে ভারতের প্রথম ইনিংস দ্রুত শেষ হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের গোড়া থেকেই উইকেট পড়তে থাকে। দ্বিতীয় দিনের শেষে প্রোটিয়াদের রান ৭ উইকেটে ৯৩। দক্ষিণ আফ্রিকা ৬৩ রানে এগিয়ে। অক্ষর প্যাটেল বলে গেলেন, এই উইকেটে রক্ষণাত্মক নীতি চলবে না। মানসিক দিক থেকে আক্রমণাত্মক হতে হবে। আক্রমণই সেরা নীতি হওয়া উচিত। প্রোটিয়াদের ১২৫ রানের মধ্যে থামিয়ে ভারত প্রথম টেস্ট জিতে নিতে চাইবে।