আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসছেন। তিনি আসছেন। ডিসেম্বরে লিওনেল মেসি আসছেন ভারতে। পরের বছরই বিশ্বকাপ। তার আগে ভারত সফরে আসবেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। জানা গেছে, ফুটবলের কিংবদন্তি আসবেন কলকাতাতেও। তার সঙ্গে মুম্বইয়েও আর্জেন্টিনীয় মহাতারকার পা পড়তে চলেছে। এবার ভাবনু তো কেমন হবে যদি ব্যাট হাতে ছক্কা হাঁকান মেসি? তাও সেটা ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের মঞ্চ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে? আর তাঁর বিপক্ষে রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি বা বিরাট কোহলি।
একেবারেই কল্পনা নয়। একদমই বাস্তব। তার জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভারতে মেসি আসতে চলেছেন ১২ ডিসেম্বর। পরের দিন কলকাতার ইডেনে অনুষ্ঠান। সেখান থেকেই রাতে উড়ে যাবেন আহমেদাবাদ। সেখানে শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠান রয়েছে। তার পরের দিন ১৪ ডিসেম্বর মেসি যাবেন মুম্বই। যেখানে অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। কলকাতায় মেসির অনুষ্ঠানে যেরকম উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। সেরকম মুম্বইয়ে ১৪ ডিসেম্বর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস।
জানা গেছে, কলকাতায় মেসির সঙ্গে দেখা হবে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির। মেসির সঙ্গে দেখা করার জন্য সেরকম মুম্বই উড়ে যাবেন বিশ্বজয়ী ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। এক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অধিনায়কের সঙ্গে দেখা করবেন আরেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক। থাকতে পারেন বিরাট কোহলিও। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা জানাচ্ছেন, ‘মেসি ওয়াংখেড়েতে ১৪ ডিসেম্বর বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটারদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে পারেন। সব কিছু চূড়ান্ত হলে আয়োজকরা সূচি ঘোষণা করবেন।’
এখনও অবধি যা জানা গেছে, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সাত দলের একটি ম্যাচ হতে পারে। সেখানে মেসির বিপক্ষে থাকতে পারেন ধোনি–কোহলি। থাকতে পারেন শচীন তেণ্ডুলকার, রোহিত শর্মাও। এখন দেখার এই স্বপ্ন কতটা বাস্তবায়িত হয়।
এদিকে, লিগস কাপে ফের দেখা গেল মেসি ম্যাজিক। তাঁর দল ইন্টার মায়ামি জিতল ২–১ ব্যবধানে। নিজে গোল না করলেও দুটি গোলের ক্ষেত্রেই অবদান থাকল মেসির।
অলস্টার ম্যাচে না খেলায় এক ম্যাচ নির্বাসিত হয়েছিলেন মেসি। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরে প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে আটলাসকে ২–১ গোলে হারিয়ে নাটকীয় জয় পেল ইন্টার মায়ামি।
ফোর্ট লডারডেলে লিগস কাপের গ্রুপ পর্বের উদ্বোধনী ম্যাচে শুরু থেকেই দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয়। যদিও বেশ কিছু সুযোগ পেলেও তা থেকে গোল করতে পারেনি মায়ামি এবং আটলাস। এর মধ্যে বেশ কিছু নিশ্চিত গোল বাঁচান মায়ামি গোলকিপার রোকো বোভো। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে লুইস সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে যেতে পারত মায়ামি। কিন্তু তাঁর শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দুই দল গোল পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৫৭ মিনিটে মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে বিপক্ষের জালে জড়াতে ভুল করেননি তেলাসকো সেগোভিয়া। এগিয়ে যায় মায়ামি। যদিও ৮০ মিনিটে রিভাল্ডো লোজানো সমতা ফেরান আটলাসকে।
যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ ড্র হতে চলেছে, ঠিক তখনই ফের মেসি ম্যাজিক। খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে প্রায় ৯৬ মিনিটে মেসির ডিফেন্স চেরা পাস থেকে মায়ামির হয়ে জয়সূচক গোল করেন মার্সেলো ভিগান্ট। যদিও গোলটির ক্ষেত্রে প্রথমে অফসাইডের পতাকা উঠেছিল। পরে ‘ভার’–এর সহায়তায় গোলটি বৈধ ঘোষণা করা হয়। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে মেসির মায়ামি।
