আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ব্যর্থতার পর নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছে বিসিসিআই। স্ত্রী এবং বান্ধবীদের ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৪৫ দিনের সফরে স্ত্রীরা দু'সপ্তাহ থাকতে পারবে। শীঘ্রই নতুন নিয়ম কার্যকরী হতে চলেছে। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন নিয়ম চালু করতে চলেছে বোর্ড? জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সফরের কিছু ঘটনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে বোর্ড। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সফর চলাকালীন ক্রিকেটারদের গ্রুপ করে ঘুরতে দেখা যায়। যার ফলে টিম বন্ডিং মিসিং ছিল।
সেই রিপোর্টেই জানানো হয়েছে, গোটা সফরে মাত্র একবার টিম ডিনারে গোটা দল একত্রিত হয়। বাকি সফরে একবারও পুরো দলকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। বোর্ডের সূত্র বলেন, 'এক দশকের বেশি সময় ধরে এই দলটা সব ফরম্যাটে সফল হয়েছে। হঠাৎ সেই একই প্লেয়ারদের নিয়ে ব্যর্থতা দেখতে হচ্ছে। দলের মধ্যে একতার অভাব রয়েছে। ট্রেনিং এবং ম্যাচ ছাড়া প্লেয়াররা নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত। আজকাল প্লেয়ারদের সঙ্গে তাঁদের পরিবার থাকে। তারমধ্যে অনেকেই আলাদা হোটেলে থাকার অনুরোধ জানায়। অনেকেই নিজেদের যাতায়াতের ব্যবস্থা নিজেরাই করে নেয়। তাঁদের দলের বাকিদের সঙ্গে দেখাই যায় না। সেই কারণেই সফরে পরিবার আনার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।'
পারথ টেস্টে জেতার পর নিজেদের মধ্যে কোনও ডিনারও আয়োজন করা হয়নি। এমনকী কোচ গৌতম গম্ভীরও নিজের লোকজনদের নিয়ে বেরিয়ে যায়। বাকি দল বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে যায়। বোর্ডের সূত্র বলেন, 'পারথ টেস্ট জেতার পর সবাই মিলে একটা ডিনার আয়োজন করা উচিত। তার বদলে সবাই গ্রুপ করে বেরিয়ে গিয়েছে। দুই মাসের সফরে মাত্র একটা টিম ডিনার হয়েছে। আগের টিম ম্যানেজমেন্ট গোটা দল নিয়ে আউটডোর গেমসের আয়োজন করত। এতে টিম বন্ডিং বাড়ে।' দলের এই চিত্র দেখে ঐচ্ছিক টেনিং সেশন বাতিল করেন গম্ভীর। হেড কোচ চান সবাই একসঙ্গে প্র্যাকটিস করুক। যাতে টিম স্পিরিট বাড়ে।
