আজকাল ওয়েবডেস্ক: সদ্য শেষ হওয়া বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে দর্শক উপস্থিতির হার রেকর্ড ব্রেকিং। এত মানুষ খেলা দেখেছেন জেনে অবাক রবি শাস্ত্রী এবং রিকি পন্টিং। দুই প্রাক্তন তারকা মনে করছেন, ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জনপ্রয়তা অ্যাশেজকেও ছাপিয়ে যাবে। ভারতের আধিপত্য কাটিয়ে ১০ বছর পর বর্ডার-গাভাসকর সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ টেস্ট মিলিয়ে মোট ৮ লক্ষ ৩৭ হাজার দর্শক খেলা দেখেছে। ক্রিকেটের আধুনিক যুগে দুই দলের এই দ্বৈরথকে অবাস্তবের অ্যাখ্যা দেন রবি শাস্ত্রী। আইসিসির রিভিউতে শাস্ত্রী বলেন, 'একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, মেলবোর্ন টেস্টে ৩,৭৫,০০০ দর্শক হয়েছে। যা ৯০ বছর আগের ৩,৫০,০০০ দর্শকের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ব্র্যাডম্যানের সময় ১,২০,০০০ দর্শক হত। আধুনিক যুগে এই সিরিজ নিয়ে মানুষের আগ্রহ কতটা বেড়েছে, এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। মাপকাঠি বেড়ে গিয়েছে। টিভি, ওটিটি থাকা সত্ত্বেও এত মানুষের মেলবোর্নে খেলা দেখতে আসা, তারপর সিডনিতেও ফুল হাউজ আশ্চর্যের।' 

রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে একমত রিকি পন্টিং। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়কের মতে, অ্যাশেজের জনপ্রিয়তা‌ ছাপিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আছে বর্ডার-গাভাসকর‌ ট্রফির। পন্টিং বলেন, 'পরের বছর অ্যাশেজের পর একটা পরিষ্কার ছবি পাওয়া যাবে। সেখানে এই সংখ্যক দর্শক না হলে বোঝা যাবে যে ফ্যানদের কাছে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির গুরুত্ব বেশি। তিন দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সমর্থকরা কিভাবে দেখছে বোঝা যাবে। পন্টিং মনে করেন, বৃষ্টি বিঘ্ন না ঘটালে এবং অধিকাংশ টেস্ট সময়ের আগে শেষ না হলে দর্শক সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। পন্টিং বলেন, 'পারথ টেস্ট চারদিন গড়ায়। অ্যাডিলেড তিনদিন। সিডনিও তিনদিন। খেলা পাঁচদিন হলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। পরের বছর এই সময় বিশ্বের সেরা দ্বৈরথ কোনটা আমরা জেনে যাব।' গত ১৫-২০ বছর ধরে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির অঙ্গ রবি শাস্ত্রী এবং রিকি পন্টিং। দু'জনেই মনে করছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সিরিজ আরও বড় আকার নিচ্ছে।