আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ অমিত মিশ্র। প্রতিশ্রুতিমান লেগস্পিনার ছিলেন দেশের। কিন্তু আন্তর্জাতিক কেরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। 


সেই অমিত মিশ্র চলতি বছরই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন। প্রায় দুই দশক জুড়ে বিস্তৃত ছিল তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার। তবে ২০১৭ সালেই শেষ হয়ে যায় তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার। অনেকেই মনে করেন, মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে আরও বেশি সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল অমিতের। কিন্তু তিনি নিজে কী ভাবেন?‌
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে ভারতের প্রাক্তন এই লেগস্পিনার বলেছেন, ‘‌লোকে বলে ধোনি না থাকলে আমার কেরিয়ার নাকি আরও ভাল হত। কিন্তু কে জানে, ও না থাকলে আমি হয়তো দলেই থাকতাম না। আমি মূলত ওর অধীনেই খেলেছি। বারবার কামব্যাক করেছি। অধিনায়ক হিসেবে ও রাজি হত বলেই তো দলে ফিরতে পেরেছি। তাই আমি বিষয়টাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখতে চাই।’‌ 


এটা ঘটনা, পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন অমিত মিশ্র। আর টেস্টে তাঁর সেরা সময় ২০০৮ থেকে ২০১১ অবধি। গোটা সময়টাতেই মহেন্দ্র সিং ধোনি অধিনায়ক ছিলেন। অবশ্য পরে কোহলির অধিনায়কত্বেও খেলেছেন অমিত মিশ্র। ধোনির অধিনায়কত্ব নিয়ে অমিতের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‌আমি সেই সমর্থনটা পেয়েছি। যখনই আমি প্রথম একাদশে থেকেছি। তখনই ধোনি এসে আমাকে পরামর্শ দিত। সব সময় আমার সঙ্গে কথা বলত। আমার যে শেষ ওয়ানডে সিরিজ, সেটা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ছিল। একটা ম্যাচে আমি রান আটকানোর কথা ভাবছিলাম, উইকেটের চেষ্টা করছিলাম না। তখন ধোনি এসে বলে এটা আমার স্বাভাবিক বোলিং নয়। তারপর নিজের মতো বোলিং করেই আমি ৫ উইকেট পাই। আমার মতে, ওটা আমার কেরিয়ারের সেরা বোলিং।’‌ 


এটা ঘটনা ধোনির দর্শন ছিল ম্যাচ জিততে গেলে উইকেট নিতে হবে। আর সেটাকেই সমর্থন করলেন অমিত মিশ্র।


এটা ঘটনা অমিত মিশ্র ২২ টেস্টে পেয়েছেন ৭৬ উইকেট। ৩৬ ওয়ানডে ম্যাচে পেয়েছেন ৬৪ উইকেট। তার মধ্যে ইনিংসে ৬ উইকেটও আছে। দেশের হয়ে ১০ টি–টোয়েন্টি ম্যাচে পেয়েছেন ১৬ উইকেট। খেলেছেন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। 

প্রসঙ্গত, সাড়া জাগিয়ে শুরু করলেও কেরিয়ার দীর্ঘায়িত করতে পারেননি অমিত মিশ্র। একাধিকবার বাদ পড়েছেন। ফিরেও এসেছেন। কিন্তু জাতীয় দলে কখনও থিতু হতে পারেননি।