আজকাল ওয়েবডেস্ক: রোহিত, বিরাটদের বিরুদ্ধে খেলতে দেখা যাবে না অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে। প্রসঙ্গত, অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সাদা বলের সিরিজ খেলতে যাবে টিম ইন্ডিয়া। সেই সিরিজে খেলার কথা বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার। ভারতের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজের আগে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এক দিনের দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে। একটি বিশেষ কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। 

১৯ অক্টোবর থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে তিনটি এক দিনের ম্যাচ ও তার পর পাঁচটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ হবে। সিরিজ শেষ হবে ৮ নভেম্বর। এই আটটি ম্যাচেই পাওয়া যাবে না কামিন্সকে। 

আরও পড়ুন: 'আমাদের দেশে গিয়ে ক্রিকেট না খেললে, ভারতে কেন দল পাঠাবো?', বিশ্বকাপ বয়কট পাকিস্তানের...

পিঠের সমস্যার জন্যই অ্যাশেজের শুরুতে প্যাট কামিন্সের খেলা নিয়ে উঁকি দিচ্ছে প্রবল শঙ্কা। কিন্তু খবরের ভিতরের খবর বলছে, ঐতিহ্যবাহী সিরিজটির একটি মুহূর্তও মাঠের বাইরে থাকতে চান না অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। তাই রিহ্যাব করে নেমে পড়তে চান অ্যাশেজে। 

গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজের পর থেকে আর কোনও ধরনের ক্রিকেট খেলেননি কামিন্স। তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে না চাইলেও কামিন্স কিন্তু অ্যাশেজে নামতে বদ্ধপরিকর। 

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কামিন্সের হালকা চোট রয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলার পর নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে অ্যাশেজ সিরিজ। এ বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা। সেখানে ভাল ফল করতে চায় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই সিরিজে সম্পূর্ণ সুস্থ কামিন্সকে চাইছে তারা। সেই কারণেই ভারতের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজে তাঁকে খেলানোর ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। 

সাদা বলের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিকল্প রয়েছে। কামিন্স না খেললেও কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু অ্যাশেজে তাঁকে চাইছে তারা। কারণ, লাল বলের ক্রিকেটে এখনও অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ কামিন্স, স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডের উপর নির্ভরশীল। 

এদিকে, আচমকাই টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক থেকে অবসর ঘোষণা করলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক। ৩৫ বছর বয়সি এই বাঁহাতি বোলার জানিয়েছেন, আগামী কয়েক বছরে অস্ট্রেলিয়ার ব্যস্ত টেস্ট সূচি ও ২০২৭ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্টার্ক শেষবার টি–টোয়েন্টি খেলেছিলেন ২০২৪ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে আয়োজিত)। কিন্তু সেই টুর্নামেন্ট খুব একটা ভাল যায়নি অস্ট্রেলিয়া এবং স্টার্কের জন্য। তবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর শুরু হতে এখনও ছ’মাস বাকি। ঠিক তার আগেই স্টার্ক ক্রিকেটের এই ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ালেন। স্টার্ক অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মোট ৬৫টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচে ৭৯টি উইকেট নিয়েছেন, ইকোনমি রেট ৭.৭৪। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, অ্যাডাম জাম্পার পরেই। 

আরও পড়ুন: গোড়ার দিকে ইংরেজি জানতেন না সবুজ তোতা, কীভাবে শিখলেন? শিক্ষিকা শোনালেন এক অন্য ব্যারেটোর গল্প