আজকাল ওয়েবডেস্ক: অ্যাডিলেডে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট থেকেই মাঠে ফিরতে চলেছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর পিঠের চোটের কারণে জুলাই মাস থেকে টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন কামিন্স। সিরিজ শুরুর পর থেকে ধীরে ধীরে বোলিংয়ের লোড বাড়াচ্ছেন তিনি।
গাব্বায় চলতি পিঙ্ক বল টেস্টে তাঁকে ফেরানো নিয়ে ভাবা হলেও শেষ পর্যন্ত টিম ম্যানেজমেন্ট কামিন্সকে নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চায়নি।
কামিন্স জানান, আরও একটি বোলিং সেশন শেষে তিনি অ্যাডিলেডে গিয়ে পুরো প্রস্তুতি সম্পন্ন করবেন। কামিন্স বলেন, ‘সব ঠিকঠাক থাকলে অ্যাডিলেডে খেলতে পারব। রবিবার আরেকটা সেশন করব, তারপর অ্যাডিলেডে গিয়ে আরও একটা সেশন হবে। শরীর দারুণ লাগছে।’
তিনি জানান, ব্রিসবেন টেস্টে কামব্যাকের খুব কাছাকাছি ছিলেন, কিন্তু টানা দু’দিন বা তিন দিন বোলিং করার মতো ম্যাচ-ফিটনেস গাব্বা টেস্টের আগে পুরোপুরি ফিরে আসেনি তাঁর।
সে কারণে তাঁকে নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায়নি দল। তবে কামিন্স স্পষ্ট বলেন, ‘আমি এখন ১০০% গতিতে বোলিং করছি। হাড়ের ইনজুরি থেকে ফেরার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটানা ফিটনেস বজায় রেখে বোলিং করতে থাকা। টেস্ট ম্যাচে টানা দু-তিন দিন একটানা লম্বা স্পেলে বোলিং করতে হতে পারে। ওটাই সবথেকে বেশি ঝুঁকি ছিল।’
অভিজ্ঞ এই পেসার আরও বলেন, যদি তিনি দ্বিতীয় টেস্টে দলে ফিরতেন, তা হলে মাইকেল নেসার বা ব্রেনডন ডগেটের মতো পরিশ্রম করা বোলারদের প্রতি তা অন্যায্য হতো।
‘আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম, গ্রিনিকে নিয়ে ২০–২৫ ওভার বল করানো যায় কি না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনে হয়েছে ঝুঁকি নেওয়া উচিত হবে না। অধিনায়ক হিসেবেও বিষয়টি জটিল হয়ে যাচ্ছিল,’ যোগ করেন কামিন্স।
অস্ট্রেলিয়া চলতি অ্যাশেজ সিরিজে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নির্ভর করেছে মিচেল স্টার্কের ওপর। জশ হ্যাজলউডও ইনজুরিতে থাকায় স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডই অভিজ্ঞতার দিক থেকে এগিয়ে। অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত ১৬ টেস্টে কামিন্সের উইকেট ৯১টি, গড় ২৪.১০। অ্যাডিলেড টেস্ট শুরু হবে ১৭ ডিসেম্বর।
