আজকাল ওয়েবডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে ভারত ও পাকিস্তানের। এর মধ্যেই সবুজ মাঠে পাকিস্তান হারাল ভারতকে। 

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারতকে ৪৩ রানে হারাল পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব ১৯ দল করেছিল ৭ উইকেটে ২৮১ রান। রান তাড়া করতে নেমে ভারত থেমে যায় ২৩৮ রানে। 
পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের দুই ব্যাটার উসমান খান (৬০) ও শাহজাইব খানের (১৫৯) ব্যাটিং-দাপটে পাকিস্তান করে ৭ উইকেটে ২৮১ রান। এই দু' জন ব্যাটার ছাড়া আর কোনও পাক ব্যাটারই অবশ্য দাঁড়াতে পারেননি। 
কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে সবার নজর ছিল বৈভব সূর্যবংশীর দিকে। ওপেন করতে নেমে মাত্র ১ রানে ফিরতে হয় বৈভবকে। ভারতীয়দের মধ্যে নিখিল কুমার সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন। পাক বোলারদের মধ্যে আলি রাজা তিনটি উইকেট নেন। 

মেগা নিলামে কোটিপতি হওয়ার পর থেকেই 
বৈভবকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচুর কালি খরচ হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে ১৩ বছরের ক্রিকেটার জানিয়েছিলেন, চারপাশে তাকে নিয়ে যা ঘটছে, তাতে তার মাথা ঘুরে যায়নি। ক্রিকেটেই মনোনিবেশ করতে চায় সে। ব্রায়ান লারা তার আইডল। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হল বৈভব। 

ছেলেকে ক্রিকেটার তৈরি করার স্বপ্ন দেখতেন বৈভবের বাবা সঞ্জীব সূর্যবংশী।  তিন বছর আগে জমি বিক্রি করে দেন। রাজস্থান রয়্যালস তাঁর ছেলে বৈভবকে দলে নেওয়ায় বাক্যিহারা হন সঞ্জীব। 

বৈভব সম্পর্কে কথিত রয়েছে, তিনি এক বছরে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলে ৪৯টি সেঞ্চুরি করেছেন। সেই ছেলেই এবার রাজস্থান রয়্যালসে। সেখানে রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে পড়ে অন্য রূপ ধারণ করবে বলেই মনে করছে ক্রিকেটমহল।

কিন্তু দেশের হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই বৈভব ঠকে গেলেন পাক বোলারদের সামনে। আইপিএলের নিলামে টাকা ওড়ে। অনেকের দামই চড়চড় করে ওঠে। কিন্তু খেলার  মাঠেই নিজেকে প্রমাণ দিতে হয়। বৈভবের সামনে কঠিন পরীক্ষা। ব্যাট হাতে তাঁকে রান করতে হবে আরও।