আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইতিহাস তৈরি করল নেপাল। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল তারা। প্রথম ম্যাচে নেপালের কাছে হার মেনেছিল ক্যারিবিয়ানরা। দ্বিতীয় ম্যাচও জেতায় নেপাল সিরিজ জিতে নিল।
নেপাল প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে তুলেছিল ৬ উইকেটে ১৭৩ রান। নেপালের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করেন আসিফ। তাঁর ব্যাট থেকে আসে মূল্যবান ৬৮ রান। রান তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শেষ হয় ৮৩ রানে। ৯০ রানে ম্যাচ জেতে নেপাল। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০-এ নেপাল এগিয়ে যাওয়ায় সিরিজ জিতে নিল তারা।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট থেকেই ভারতকে বহিষ্কারের দাবি তুললেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার, এশিয়া কাপ শেষ হয়েও হল না শেষ ...
শারজায় ক্যারিবিয়ানরা ৮৩ রানে ধসে যাওয়ায় হতশ্রী এক রেকর্ডের মুখোমুখি হল। কোনও সহযোগী দেশের বিরুদ্ধে এই ৮৩ রান সর্বনিম্ন কোনও টেস্ট খেলিয়ে দেশের। ভারতে টেস্ট সিরিজ খেলবে ক্যারিবিয়ানরা। ফলে বেশ কয়েকজনকে ছাড়াই নেপালের বিরুদ্ধে খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে তাই বলে নেপালের এই জয়কে খাটো করে দেখা ঠিক হবে না। প্রথম ম্যাচ ১৯ রানে জিতেছিল নেপাল। দ্বিতীয় ম্যাচ আরও ব্যবধানে জিতল।
প্রথম ম্য়াচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ ফিল্ডিং করতে দেখা গেল নেপালকে। দুর্দান্ত কয়েকটি ক্যাচ ধরেচেন নেপালের ফিল্ডাররা। আর কথায় বলে, ক্যাচ ধরো, ম্যাচ জেতো। ৪৭ বলে ৬৮ রান করে ম্যাচের সেরা হন নেপালের আসিফ। জরা ৩৯ বলে ৬৩ রান করেন। এই দু'জন জুটিতে ১০০ রান করেন।
বল হাতে নেপালের সফল বোলার মহম্মদ আদিল আলম। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৪ রানের বিনিময়ে চার-চারটি উইকেট নেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য ভারতীয় দল ঘোষিত হয়েছে। ভারতের মাটিতে হবে দুই টেস্টের সিরিজ। অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন শুভমান গিল। দলে রাখা হয়নি বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরণকে। সহ–অধিনায়কত্ব করবেন রবীন্দ্র জাদেজা। চোট সারিয়ে ফিরতে পারেননি ঋষভ পন্থ। জায়গা হয়নি শ্রেয়স আইয়ারেরও। সুযোগ পাননি বাংলার পেসার আকাশদীপও। অভিমন্যু ঈশ্বরনকেও নেওয়া হয়নি।
বিসিসিআই-এর মুখ্য নির্বাচক অজিত আগরকর হৃদয় ভাঙলেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের। অভিমন্যু সম্পর্কে জানিয়ে দিলেন তাঁর মতামত। আগরকর বলেছেন, ''অভিমন্যু সম্পর্কে বলি, ঘরের মাঠে তৃতীয় ওকজন ওপেনারের আর দরকার নেই আমাদের।''
ঈশ্বরন সুযোগ পেলেন না কেন? তিরাশির বিশ্বজয়ী দলের সদস্য কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত ফাঁস করলেন গোপন রহস্য। তিনি বলছেন, ''অভিমন্যুর জন্য খারাপ লাগছে। ইংল্যান্ড সিরিজের পরে ওর বাবা কিছু কঠিন মন্তব্য করেছিলেন। তার জন্যই হয়তো অভিমন্যুকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নেওয়া হয়নি। তবে রিজার্ভ একজন ওপেনারকে না নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা আগরকরের যুক্তিযুক্ত।''
কী বলেছিলেন ঈশ্বরনের বাবা? তিনি বলেছিলেন, ''গৌতম গম্ভীর ওকে আশ্বস্ত করেছিল। বলেছিল, দ্যাখো তুমি ঠিকঠাকই এগচ্ছো। তুমি সুযোগ পাবে। অনেকদূর যেতে হবে তোমাকে। একটা-দুটো ম্যাচের পরে তোমাকে বের করে দেওয়ার বান্দা আমি নই। তোমাকে আমি দীর্ঘ সুযোগ দেব। আমার ছেলে এটাই আমাকে জানিয়েছিল। সমস্ত কোচিং স্টাফ ওকে বলেছিল, এবার সুযোগ আসতে চলেছে। আমার ছেলে চার বছর অপেক্ষা করেছিল।'' ঈশ্বরনের বাবা রঙ্গনাথন এক ইন্টারভিউতে একথাই বলেছিলেন। শ্রীকান্তের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার মনে করছেন, ঈশ্বরনের বাবার বিস্ফোরণের জন্যই ছেলের জায়গা হয়নি।
শেষ বার ১৯৮৩ সালে ভারতে এসে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেবার অধিনায়ক ছিলেন ক্লাইভ লয়েড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল ৩-০ ব্যবধানে। ভারত চারটি টেস্ট সিরিজ জিতেছে তার পর। ১৯৮৭ এবং ১৯৯৪ সিরিজ ড্র হয়েছিল। ২০১৩ সালে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলে অবসর নিয়েছিলেন শচীন রমেশ তেন্ডুলকর।
