আজকাল ওয়েবডেস্ক: মোহনবাগানে রবসন রোবিনহো। ষষ্ঠ বিদেশি হিসেবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে যোগ দিলেন তিনি। এমবিএসজি মিডিয়া টিমের তরফে বলা হয়েছে, তাঁর বেড়ে ওঠা ব্রাজিলে। ফুটবলার জীবনে অসংখ্য সাফল্য রয়েছে রবসনের ব্রাজিলের ক্লাব ফুটবলে। কয়েক মাস আগেই সাওপাওলো লিগে খেলেছেন নেইমারের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলে গত তিন বছরে সাতটা ট্রফি জিতেছেন।
তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্যও চমকে দেওয়ার মতো। ১৭ টা ম্যাচ খেলে করেছেন ৬৪টি গোল। সতীর্থকে গোল করার বল সাজিয়ে দিয়েছেন ৪৯টি। সেই সফলতম ফরোয়ার্ড রবসন আজেভেদো দ্য সিলভা এবার খেলবেন সবুজ মেরুন জার্সিতে। রবসন রবিনহো নামে যাঁর দক্ষিণ এশিয়ায় পরিচিতি। গোলমেশিন হিসাবে পরিচিত সেই রবসনের সঙ্গে চুক্তি হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। দলের ষষ্ঠ বিদেশি হিসাবে সোমবার সকালে শহরে এসে পড়ছেন তিরিশ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। তারপর নেমে পড়বেন এ সি এল টু–র প্রস্তুতিতে। গোলমেশিন ও দুর্দান্ত প্লে মেকার রবসন যোগ দেওয়ায় হোসে মোলিনার দলের আক্রমণভাগের শক্তি আরও বাড়বে। কারণ রবসন দুই উইংয়ে খেলতে যেমন দক্ষ, তেমনই নম্বর–টেন পজিশনে খেলেও সাফল্য পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্বভাব বদলাবেন না, ফের ঝামেলায় জড়ালেন বিতর্কিত স্পিনার দিগ্বেশ রাঠি ...
এদিকে, মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের চুক্তিতে সই করার পর এমবিএসজি মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবসন বলেছেন, ‘এর আগে বসুন্ধরার হয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তখন থেকেই জানি মোহনবাগান ভারতের সেরা ও সফলতম ক্লাব। ওই ম্যাচে আমি কীরকম খেলেছিলাম তা সবুজ–মেরুন সমর্থকদের নিশ্চয়ই মনে আছে। এবার সেই সবুজ মেরুন জার্সি পরেই আমি সেরকমই সাফল্য পাব আশা করছি। অপেক্ষা করুন।’

গত মরসুমে লিগ শিল্ড ও আইএসএল ট্রফি দুটোই পেয়েছিল মোহনবাগান। রবসনের কথায়, ‘গত বছর মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ভারতের সেরা দুটো লিগ–কাপেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের গত পাঁচ বছরের সাফল্যের রেকর্ড ভারতের আর কোনও ক্লাবের নেই। সেরা বিদেশিরা এই ক্লাবে খেলে। ভারতের জাতীয় দলের বেশিরভাগ ফুটবলারও খেলে মোহনবাগানে। আমি ওদের একজন সতীর্থ হয়ে আসছি, ওদের সাহায্য করার জন্য। ক্লাবে আরও ট্রফি আনতে চাই, ওদের সঙ্গে খেলে।’ রবসনের ফিটনেস নিয়ে কথা হচ্ছিল। সমর্থকদের আশ্বস্ত কবে রবসন বলেছেন, ‘আমি খেলার মধ্যেই আছি। নিজেকে ফিট রাখার জন্য নিয়মিত ফিজিক্যাল ট্রেনিং করেছি। দু’সপ্তাহ সময় পেলেই আমি টিমের সঙ্গে সব দিক থেকেই মানিয়ে নিতে পারব বলে আশা রাখি। বিশ্বাস মোহনবাগানের প্রথম এএফসি ম্যাচের আগেই আমি দলের একজন কার্যকর ফুটবলার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।’
গোল করাই তাঁর নেশা। রবসন বলেছেন, ‘গোল করতে ও করাতে ভালবাসি। কিন্তু সবার উপরে টিম গেম আসল। দলকে সাফল্য এনে দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য।’ ব্রাজিল তারকা নেইমারের বিরুদ্ধে খেলেছেন সম্প্রতি। রবসনের কথায়, ‘নেইমারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে খেলাটা আমার কাছে সম্মানের। গত ফেব্রুয়ারিতে সাওপাওলো লিগের একটি ম্যাচে ওর বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। ওই দিনটার কথা আমার কাছে সারাজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
এটা ঘটনা আজকাল ডিজিটাল আগেই জানিয়েছিল, রবসন খেললে মোহনবাগানেই খেলবেন। সেই খবরেই শনিবার পড়ল সিলমোহর।
