আজকাল ওয়েবডেস্ক: দূরপাল্লার শটে এরকম গোলও করা যায়! সুরুচি সংঘের হাওকিপ যে গোলটা করলেন, তা এককথায় দুর্দান্ত। চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। গোলের পরে তাঁর বুট পালিশ করে দিচ্ছিলেন সতীর্থরা। ওরকম গোল দেখার জন্য হাজার মাইল হাঁটা যায়।
কিন্তু সুরুচি সংঘ ওই গোল ধরে রাখতে পারল না। ওরকম দুর্দান্ত গোলের পরে ম্যাচটাও জিতল না সুরুচি। বরং এক গোলে পিছিয়ে পড়া মোহনবাগান শিবির দারুণ কামব্যাক করে ম্যাচে। তুষার গোল করে সমতা ফেরান সবুজ-মেরুনের হয়ে। দিনান্তে মোহনবাগান-সুরুচি সংঘ ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে।
আরও পড়ুন: 'আর কী করলে দলে জায়গা পাবে শ্রেয়স', এশিয়া কাপের দলে ছেলে জায়গা না পাওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া বাবার ...
মোহনবাগান-সুরুচি ম্যাচ অমীমাংসিতভাবে শেষ হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে যায় দু'দলের মধ্যে। ৭ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ষষ্ঠ স্থানে মোহনবাগান। চাপ বাড়ছে তাদের উপরে। অন্যদিকে, ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে সুরুচি সংঘ। ম্যাচ ড্রয়ের পরে সুরুচি সংঘের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ''মোহনবাগানের জুনিয়র দলের সঙ্গে ড্র আমার কাছে হারের সমান। আর কবে জিতব?''
বেশ কয়েকদিন পরে কলকাতা লিগে নামল মোহনবাগান। এদিকে ডুরান্ড কাপের জন্য সিনিয়র দলে একাধিক ফুটবলার ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ডুরান্ড কাপের জন্যই কলকাতা লিগে মেসারার্সের বিরুদ্ধে নামেনি মোহনবাগান। এদিন অবশ্য সবুজ-মেরুনের করণ রাই, পাসাং দর্জিরা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। অনেকদিন পরে খেলতে নামায় তালমিলের অভাব দেখা যায় ডেগি কার্ডোজোর ছেলেদের খেলায়। বিরতির ঠিক আগে সুরুচিকে এগিয়ে দেন হাওকিপ। টাচলাইনের বাঁ প্রান্তে বল ধরে মোহনবাগানের এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে দূরপাল্লার শট নেন। সবুজ-মেরুন গোলকিপারের পক্ষে সেই মিসাইল সামলানো সম্ভব হয়নি।
প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে থাকা মোহনবাগানকে ম্যাচে ফিরতে হলে মরিয়া হয়ে লড়তে হত। দ্বিতীয়ার্ধে সেটাই করেছিল তারা। কিন্তু সুরুচি সংঘের ফুটবলাররা অন্য মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে খেলতে নেমেছিল। একটুও জমি ছাড়েনি তারা। ফলে মোহনবাগানের কাছে কঠিন হচ্ছিল চ্যালেঞ্জ। খেলার ৮৭ মিনিটে অবশেষে স্বস্তি ফিরে আসে সবুজ-মেরুন শিবিরে। তুষার সমতা ফেরান মোহনবাগানের হয়ে।
মোহনবাগান ডুরান্ড কাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যায়। ইস্টবেঙ্গলের কাছে সবুজ-মেরুন হার মানে ২-১ গোলে। সামনে সুপার কাপ। সেই সঙ্গে চলছে কলকাতা লিগে। তবে লিগের দৌড়ে মোহনবাগান কিন্তু পিছিয়ে পড়ছে। একটা ম্যাচের সঙ্গে অন্য ম্যাচের ব্যবধান হয়ে যাচ্ছে অনেকদিনের। ফলে যে বোঝাপড়া তৈরি হচ্ছিল ফুটবলারদের মধ্যে, সেই বোঝাপড়া নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে মোহনবাগান কোচ কার্ডোজোকে। যত দ্রুত কার্ডোজো বোঝাপড়া ফেরাতে পারবেন দলের ছেলেদের খেলায়, ততই মঙ্গল সবুজ-মেরুনের।
