আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহম্মদ সামির বিরুদ্ধে এবার মারাত্মক অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন জাহান। দাবি, তাঁদের দশ বছরের মেয়ে আয়রার পড়াশোনার দেখভাল করেন না তারকা পেসার। তার বদলে অগ্রাধিকার দেন বান্ধবীর ছেলেমেয়েদের। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন উপপত্নীর বাচ্চাদের পেছনে। তাঁদের জন্য বিজনেস ক্লাসের টিকিট, স্কুলের মাইনে, সবকিছুই সামি দেন। এই বিষয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন সামির প্রাক্তন স্ত্রী। তারকা পেসারের থেকে মাসে ৪ লক্ষ টাকা খোরপোশ পান হাসিন। তারমধ্যে ২.৫ লক্ষ তাঁদের মেয়ের জন্য। হাসিনের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি আয়রা একটি প্রখ্যাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে হাসিন লেখেন, 'শত্রুরা চায়নি আমার মেয়ে একটা ভাল স্কুলে ভর্তি হোক। কিন্তু আল্লাহ তাঁদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। ও খুব ভাল একটা আন্তর্জাতিক স্কুলে ভর্তি হয়েছে। আমার মেয়ের বাবা কোটিপতি হওয়া সত্ত্বেও মহিলাদের প্রতি আসক্তির জন্য মেয়ের জীবন নিয়ে খেলছে। উপপত্নীর ছেলেমেয়েদের এলিট স্কুলে পড়াশোনা করাচ্ছে। বান্ধবীর বিজনেস ক্লাসের টিকিটের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করছে। কিন্তু দাবি করে, নিজের মেয়ের পড়াশোনার জন্য টাকা নেই।'
২০১৪ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন সামি এবং হাসিন। একবছর পর মেয়ে আয়রার জন্ম হয়। তারপর থেকেই দাম্পত্যে অশান্তি। ২০১৮ সালে সামি এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেন হাসিন। কয়েকদিন আগে বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় বড় ধাক্কা খান তারকা পেসার। প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন এবং মেয়ে আয়রার ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে চার লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কোর্টের রায় অনুযায়ী, হাসিনকে প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টাকা দিতে হবে। মেয়েকে দিতে হবে আড়াই লক্ষ টাকা। গত সাত বছরের বকেয়া টাকাও দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ছয় মাসের মধ্যে এই মামলার শুনানির নির্দেশ দিয়েছিল লোয়ার কোর্ট। গার্হস্থ্য হিংসা এবং মহিলা নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। যতক্ষণ না মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, সামিকে খোরপোশ দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গতবছর কলকাতার একটি শপিং মলে মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন সামি। দীর্ঘদিন পরে দু'জনের দেখা হয়। একসঙ্গে শপিং করতে দেখা যায়। ইনস্টাগ্রামে সেটা পোস্ট করে সামি লেখেন, 'দীর্ঘদিন পর আবার আমি যখন ওকে দেখলাম, সময় থমকে গিয়েছিল। তোমাকে ভালবাসি বেবো, যা কথায় ব্যাখ্যা করতে পারব না।' মাত্র এক ঘণ্টায় ১.৬০ লক্ষ লাইক পায় এই পোস্ট। অবশ্য এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন হাসিন। দাবি করেন, তাঁর মেয়ের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে সামির সই লাগবে। কিন্তু তিনি সই করেনি। এছাড়াও জানান, সামি যে সংস্থার হয়ে বিজ্ঞাপন করে, মেয়েকে সেই দোকানেই নিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে কেনাকাটি করলে, তাঁকে পয়সা দিতে হয় না। এছাড়াও জানান, তাঁর মেয়ে গিটার এবং ক্যামেরা চেয়েছিল। যা সামি তাঁকে কিনে দেয়নি।
