আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ সিরিজের বাকি দুই টেস্টে নেই শোয়েব বশির। লর্ডস টেস্টে বাঁহাতের আঙুলের হাড়ে চিড় ধরেছে শোয়েব বশিরের। সেই চোট নিয়েই বল করেছেন তিনি। তাঁর হাতেই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। কিন্তু বশির সিরিজের বাকি দুই টেস্টে খেলতে পারবেন না। তাঁর পরিবর্ত ঘোষণা করে দিয়েছে ইংল্যান্ড। এক স্পিনারের বদলে আর এক স্পিনারই দলে এসেছেন। 


বশিরের বদলে ৩৫ বছরের অভিজ্ঞ লিয়াম ডসনকে দলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। অর্থাৎ, এক ডানহাতি স্পিনারের বদলে বাঁহাতি স্পিনারকে নেওয়া হয়েছে। শেষ ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। এর অর্থ ৮ বছর পর আবার ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি।


ডসনের লড়াই ছিল জ্যাক লিচ, রেহান আহমেদ, উইল জ্যাকস ও জেকব বেথেলের বিরুদ্ধে। কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্ম বিচার করে তাঁকে নেওয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচক লুক রাইট বলেছেন, ‘‌ডসন দলে সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ও হ্যাম্পশায়ারের হয়ে দুর্দান্ত খেলেছে। তাই ওকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’‌ 


এটা ঘটনা, বাঁহাতি স্পিনের পাশাপাশি আট নম্বরে ডসনের ব্যাটের হাতও খারাপ নয়। তিনি খেললে ইংল্যান্ডেরই সুবিধা হবে। ক্রিস ওকস ও ব্রাইডন কার্সের পাশাপাশি আরও এক বোলার তারা পাবে যিনি ব্যাটটাও করতে পারেন। তাতে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং গভীরতা আরও বাড়বে।


ইংল্যান্ডের হয়ে এখনও পর্যন্ত তিনটে টেস্ট, ছ’টা এক দিন ও ১৪ টি টি২০ খেলেছেন ডসন। ৩৫ বছর বয়স হলেও জাতীয় দলে বেশি সুযোগ পাননি তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে যে সুযোগ তিনি পেয়েছেন তা কাজে লাগাতে চাইবেন অভিজ্ঞ স্পিনার।

এদিকে, লড়েছিলেন তিনি। ভয়ঙ্কর রকম লড়েছিলেন। যদি জেতাতে পারতেন হয়ত ভারতরত্নটা তার জন্যই রাখা থাকত। কিন্তু পারলেন না স্যর জাড্ডু। নিজে অপরাজিত থাকলেন ৬১ রানে। কিন্তু শোয়েব বশিরের বলটা সিরাজ খেলার পরেও দিল উইকেট ভেঙে। আটকাতেই পারতেন পা দিয়ে। মুহূর্তের ভুল। আর তাতেই সবশেষে। ১৯৩ রান তাড়া করতে নেমে ভারত শেষ হয়ে গেল ১৭০ রানে। লর্ডস টেস্ট ইংল্যান্ড জিতে নিল ২২ রানে। সিরিজে এগিয়ে গেল ২–১ ব্যবধানে।

শেষ পর্যন্ত লর্ডস টেস্ট জিতে নিল ইংল্যান্ড। সিরিজে স্টোকসরা এগিয়ে গেল ২–১–এ। 

২০২১ সালে ভারত শেষ বার লর্ডসে জিতেছিল। এবারও গতিপ্রকৃতি যে দিকে মোড় নিয়েছিল, তাতে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন ভারতই শেষ হাসি হাসবে। কিন্তু যা ভাবা হয়, তা সব সময়ে হয় না। 

জেতার জন্য পঞ্চম দিন ভারতের সমীকরণ ছিল অপেক্ষাকৃত সহজ। ১৩৫ রান করতে হবে। হাতে ৬ উইকেট। খুব একটা কি কঠিন ছিল বিষয়টা? কিন্তু ভারত পারল কই?‌ 

প্রথম ইনিংসে রাহুল ও পন্থ গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। এদিন পন্থ তাঁর সহজাত ভঙ্গিতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। জোফ্রা আর্চারের আগুনে বোলিং ছিটকে দেয় পন্থের অফ স্ট্যাম্প। 

জাদেজার সঙ্গে মরিয়া হয়ে লড়েন বুমরা ও সিরাজ। কিন্তু শেষ হাসি হাসতে পারলেন না। ট্রাজিক হিরো হয়েই রয়ে গেলেন জাদেজা।