আজকাল ওয়েবডেস্ক: টিম ইন্ডিয়ার রোমাঞ্চকর সিরিজ ড্রয়ের পর দেশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন মহম্মদ সিরাজরা। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য শেষ টেস্টে খেলেননি যশপ্রীত বুমরা। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ ড্রয়ের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন। ব্যাটার এবং বোলারদের তালিকায় শীর্ষে দুই ভারতীয়। শুভমন গিল এবং মহম্মদ সিরাজ। ওভালে ৬ রানে জিতে সিরিজ ২-২ করে টিম ইন্ডিয়া। শুভমন গিলদের অভিনন্দন জানিয়ে বুমরা লেখেন, 'অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং চিত্তাকর্ষক সিরিজ থেকে আমরা স্মরণীয় মুহূর্ত নিয়ে ফিরছি। এবার পরের দিকে তাকিয়ে।' তারকা পেসারের এই পোস্ট ধোঁয়াশা বাড়িয়ে দিয়েছে। চিন্তায় পড়ে গিয়েছে ফ্যানরা। এরপর কোন সিরিজে আবার বুমরাকে দেখা যাবে, এটাই আসল প্রশ্ন।
ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য মাত্র তিনটে টেস্টে খেলেন বুমরা। তাসত্ত্বেও সিরিজে যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন তিনি। নেন ১৪ উইকেট। গড় ২৬। সেরা বোলিং ৭৪ রানে ৫ উইকেট। আইপিএলের পর লাল বলের ক্রিকেটে ফেরেন বুমরা। চোটের পর মাঠে ফেরার জন্য কোটিপতি লিগকে মঞ্চ করেন। আইপিএলে ১৮ উইকেট নেন। অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি চলাকালীন চোট পেয়েছিলেন। সেই সিরিজে ৩২ উইকেট ছিল তাঁর ঝুলিতে। পিঠের চোট সারিয়ে মাঠে ফিরলেও তাঁকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগেই গৌতম গম্ভীর জানিয়ে দেন, পাঁচ টেস্টের মধ্যে তিনটিতে খেলবেন বুমরা। যেমন কথা, তেমন কাজ। এজবাস্টন এবং ওভাল টেস্টে খেলেননি। পঞ্চম টেস্ট চলাকালীনই দেশে ফিরে আসেন। এশিয়া কাপে তারকা পেসারকে পাওয়া যাবে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুমরার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটে আলোচ্য বিষয়। তাঁর মান এবং এক্স ফ্যাক্টরের কথা মাথায় রেখে তারকা পেসারের প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। যার ফলে বুমরাকে তিন টেস্টে খেলানোর পরিকল্পনা অব্যাহত রাখা হয়। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে খেলায় ওভালে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। গ্রিন টপ উইকেটে বুমরা ম্যাজিক মিস করছে ভারতীয় দল। যদিও তার প্রভাব খুব একটা টেস্টে পড়েনি। মহম্মদ সিরাজ তাঁর অনুপস্থিতি ঢেকে দেন। বুমরাকে নিয়ে বড় মন্তব্য করেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার মনে করেন, সঠিক পদ্ধতিতে অফ সিজন না হলে, তার প্রভাব শরীরের ওপর পড়বেই। অন্তত দু'মাসের সম্পূর্ণ বিরতি প্রয়োজন। আজকাল ক্রিকেট সারা বছর ধরে চলে। অনেকেই টানা খেলার মধ্যে থাকে। তাই বেশিদিন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে থাকার সুযোগ পায় না। এই প্রসঙ্গে ম্যাকগ্রা বলেন, 'একজন ফাস্ট বোলারের জন্য অফ সিজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারা বছর ধরে খেললে, এমন হতে বাধ্য। এটাই এই খেলার নিয়ম। ভাল বোলিং অ্যাকশন, মাঠের বাইরের প্রস্তুতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক আধজন আলাদা হতেই পারে। তবে সাধারণত ৯৯.৯% ফাস্ট বোলারদের ভাল অফ সিজন দরকার।' আবার কবে নীল জার্সিতে বুমরাকে দেখা যাবে, সেটাই দেখার।
