আজকাল ওয়েবডেস্ক: জল্পনার অবসান। অবশেষে জট কাটল। ১১ জানুয়ারি গুয়াহাটিতেই হচ্ছে আইএসএলের ফিরতি ডার্বি। দীর্ঘ আলোচনার পর মঙ্গলবার সন্ধেয় শেষপর্যন্ত আসন্ন ডার্বির ভেন্যু চূড়ান্ত করা হল। আগামী শনিবার ৭.৩০ মিনিট থেকে ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে হবে আইএসএলের ফিরতি বড় ম্যাচ। গত ৪৮ ঘন্টায় এফএসডিএলের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয় বাগান কর্তৃপক্ষের। সরকারের অনুমতি পাওয়ার চেষ্টা চলে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থাকবেন। শনিবার, অর্থাৎ ডার্বির দিন দুপুর আড়াইটে থেকে গুয়াহাটিতে রাজনৈতিক ব়্যালি বেরোবে। এই কারণেই বিষয়টি আরও জটিল হয়ে যায়। মোহনবাগান কর্তা, এফএসডিএলের অধিকারকরা নিয়মিত গুয়াহাটির ক্রীড়া বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। শুধুমাত্র এই একটি জায়গায় আটকে ছিল। নয়তো সোমবার সকাল থেকেই শোনা যায়, ডার্বি গুয়াহাটিতে হবে। কিন্তু সিলমোহর পড়েনি। যদিও আজকাল.ইন শনিবার রাতেই জানিয়ে দেয়, ডার্বি হতে পারে গুয়াহাটিতে। তবে একই দিন রাজনৈতিক ব়্যালি পড়ে যাওয়ায় ভেন্যু চূড়ান্ত করতে আরও কিছুটা সময় লেগে যায়। শেষমেষ ডার্বির তিনদিন আগে ভেন্যু চূড়ান্ত হল। ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে গেলেও, এখনও চিঠি এসে পৌঁছয়নি মোহনবাগানের কাছে। তবে শীঘ্রই সেটা চলে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করেই গুয়াহাটি রওনা দেবে দুই দল।  

গঙ্গাসাগর মেলার জন্য পুলিশ নিরাপত্তা না দিতে পারার কারণে আগেই কলকাতা থেকে সরে যায় ডার্বি। কাছাকাছি দুটো ভেন্যু জামশেদপুর এবং ওড়িশা। ডার্বির পরই টাটার শহরে মোহনবাগানের ম্যাচ আছে। তাই মাঠ দিতে রাজি হয়নি জামশেদপুর। ওড়িশায় খেলতে চায়নি মোহনবাগান। অগত্যা হাতে বিকল্প ছিল গুয়াহাটি এবং দিল্লি। তারমধ্যে বাগান ম্যানেজমেন্টের প্রথম পছন্দ ছিল গুয়াহাটি। তার অন্যতম কারণ, টিভি সেট আপ। ১০ জানুয়ারি গুয়াহাটিতে পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের হোম ম্যাচ আছে। আবার ১৪ জানুয়ারি গোয়ার বিরুদ্ধে নর্থ ইস্টের হোম ম্যাচ। অর্থাৎ টিভি সেটআপ পুরো তৈরি থাকবে। সেক্ষেত্রে পরের দিন ডার্বি করতে কোনও বাড়তি আয়োজনের প্রয়োজন পড়বে না। খরচও বাঁচবে। এই বিষয়টি মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে এফএসডিএলকে জানানো হয়েছিল। তারপর থেকেই গুয়াহাটিতে ডার্বি করার চেষ্টা শুরু হয়।