আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুম্বইয়ে তাঁকে বাদশা বলা হয়। সেই বাদশা তাঁর নাইটদের কাছে আবদার করেছিলেন, ''মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচটা জিতে আমাকে তোমরা উপহার দিও। আমি তোমাদের কাছে কিছু চাই না। শুধু এই ম্যাচটা জিতো।''
২০০৮ সালের কলকাতা বনাম মুম্বই ম্যাচের আগে নাইটদের কাছে জয় চেয়েছিলেন শাহরুখ। সেই ম্যাচে সৌরভের কেকেআর ৬৭ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল। শচীন তেণ্ডুলকরের নেতৃত্বে ৫.৩ ওভারে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল মুম্বই। তার পরে ওয়াংখেড়েতে যে বিরুদ্ধ স্রোত লক্ষ্য করেছিলেন শাহরুখ, তা দেখে বিধ্বস্ত হয়েছিলেন কিং খান।
'লিভিং ইন কেকেআর'-এ তথ্যচিত্রে জানা যায়, মুম্বই ম্যাচের আগে তাঁর দলের ছেলেদের কাছে এহেন আবদার করেছিলেন শাহরুখ।
আবার মুম্বইয়ের কাছে হেরে যাওয়ার পরে ওয়াংখেড়ের দর্শকদের বিরূপ আচরণ দেখে ভেঙে পড়েছিলেন শাহরুখ, এই আখ্যানও রয়েছে সেই তথ্যচিত্রে।
দেখতে দেখতে আরও একটা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ আইপিএলে। সোমবার সন্ধ্যায় ওয়াংখেড়ে কাণায় কাণায় ভরা থাকবে। এই ভরা ওয়াংখেড়েতে ম্যাচের আগে শাহরুখ চাইবেন তাঁর ছেলেরা যেন জিতে মাঠ ছাড়েন।
একসময়ে ওয়াংখেড়েতে শাহরুখের দিকে উড়ে এসেছিল গালিগালাজ। দর্শকদের আচরণ দেখে তিনি বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন। যে শহরে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে রয়েছেন, সেই চেনা শহর কীভাবে এতটা বদলে গেল? শাহরুখ বুঝতে পারেননি। কিং খানকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ''আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এই ভেবে যে এই কি সেই জায়গা, সেই দেশ, যেখানে আমি একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকা!''
কেকেআর ডিরেক্টর জয় ভট্টাচার্যকে বলতে শোনা গিয়েছ, ''আমরা হেরে গিয়েছিলাম বলে শাহরুখ বিধ্বস্ত হয়েছিল তা নয়, যে শহরে কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে থাকছে, সেই শহরের মানুষ ওকে গালিগালাজ করছে, তা দেখে ভেঙে পড়েছিল।''
