আজকাল ওয়েবডেস্ক:  ইডেনে হারের পরে ভারতের হেডস্যর গৌতম গম্ভীর বলেছিলেন, এরকম পিচই তো বানানোর কথা বলেছিলাম। 
গম্ভীরের সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন না তাঁর ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের বল গড়ানোর আগে সীতাংশু ইডেন পিচ প্রসঙ্গে বলেন, ''এই ধরনের পিচ কেউই চায় না।'' 

ইডেনের পিচে ডেলিভারির চরিত্র বুঝতে সমস্যা হয়েছে ব্যাটারদের। কোনও বল হঠাৎই লাফিয়ে উঠেছে। আবার কোনও ডেলিভারি নীচে নেমে গিয়েছে। সীতাংশু কোটাক বলেন, ''গত ম্যাচের উইকেটের দিকে লক্ষ্য করে দেখুন। গৌতম দোষ নিজের উপরে নিয়েছে। ও একথা বলেছে, কারণ কিউরেটরের উপরে সব দোষ দিতে চায়নি।'' 

দ্বিতীয় টেস্টের পিচ কেমন হবে? ভারতীয় ব্যাটাররা কীভাবে মোকাবিলা করবেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের? 

দ্বিতীয় টেস্টে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন শুভমন গিল। যদিও এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর। গিলের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে ঋষভ পন্থকে। দলে ফেরানো হবে সাই সুদর্শনকে। ইডেন টেস্টে ছিলেন না বাঁ হাতি। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে ফিরছেন। তিন নম্বরে ব্যাট করবেন সুদর্শন। ইডেনে এই জায়গায় নামেন ওয়াশিংটন সুন্দর। যা দেখে অবাক ক্রিকেট পণ্ডিতরা। কিন্তু এবার আর কোনও ফাটকা খেলতে চাইছে না গৌতম গম্ভীর সহ টিম ম্যানেজমেন্ট। 

ব্যাটিং অর্ডারে আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে। ভারতের হয়ে ইনিংস ওপেন করবেন যশস্বী জয়েসওয়াল এবং কেএল রাহুল। তিন নম্বরে নামবেন সাই সুদর্শন। ঋষভ পন্থ চার নম্বরে নামবেন। প্রথম টেস্টে গিল মাঠ ছাড়ার পর টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেন পন্থ। গুয়াহাটিতেও সেই ভূমিকায় দেখা যাবে তারকা উইকেটকিপার ব্যাটারকে। যার ফলে আবার মিডল অর্ডারে ফেরানো হবে ওয়াশিংটনকে। দলে জায়গা ধরে রাখবেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং অক্ষর প্যাটেল। বাড়তি ব্যাটার হিসেবে গুয়াহাটি টেস্টেও থাকছেন ধ্রুব জুরেল। বর্শাপাড়া স্টেডিয়ামে একমাত্র স্পিনার হিসেবে খেলবেন কুলদীপ যাদব। দুই পেসার মহম্মদ সিরাজ এবং যশপ্রীত বুমরা। গুয়াহাটির পিচে টার্নের পাশাপাশি বাউন্স থাকবে। তাই অলরাউন্ডার হিসেবে জায়গা পেতে পারেন নীতিশ কুমার রেড্ডি।

 ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্রথম টেস্ট হারের পর থেকে সমালোচনার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। গৌতম গম্ভীর-সহ টিম ম্যানেজমেন্টকে কটাক্ষ করেন ভারতের প্রাক্তন বোলার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন হরভজন সিং। ১২৪ তাড়া করতে নেমে ৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। একমাত্র ওয়াশিংটন সুন্দর ছাড়া কেউ ৩০ রানের বেশি করতে পারেনি। টিম ইন্ডিয়ার হারের পর ইডেনের পিচ আতশকাঁচের নীচে। দ্বিতীয় দিন ১৫ উইকেট পড়ে।হরভজন মনে করেন, এই ধরনের পিচ টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষতি করছে। দাবি, উইকেট এরকম হলে, প্লেয়ার তৈরি হবে না। ভাজ্জি বলেন, ''ওরা টেস্ট ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য দুঃখ হয়। শান্তিতে থেকো টেস্ট ক্রিকেট। গত কয়েক বছর ধরে যে ধরনের পিচ বানানো হচ্ছে। আমি সবই দেখছি। কিন্তু এই নিয়ে কেউ কোনও কথা বলে না। কারণ দল জিতছে। কেউ উইকেট নিচ্ছে। কেউ সেই উইকেটগুলো নিয়ে মহান হচ্ছে। তাই সবাই ভাবে সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে। তবে এটা এখন থেকে শুরু হয়নি। বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে। আমার মতে, এটা ক্রিকেট খেলার ভুল ধরন। এইভাবে এগোনো যাবে না। হয়তো দল জিতছে, কিন্তু তাতে কোনও লাভ নেই। এইভাবে ক্রিকেটার হিসেবে উন্নতি করা সম্ভব নয়। তাই আমার মনে হয়, এবার এটা নিয়ে ভাবার সময় হয়ে গিয়েছে। এমন পিচে নিজেদের ব্যাটাররাই জানে না কিভাবে রান করতে হবে। কিন্তু দেখানো হচ্ছে, তাঁরা জানে। সবাই যদি পিচের জন্য আউট হয়, তাহলে যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।''