আ়জকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় পুরুষ ফুটবল দলের অবনমন কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না। এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারে হারের জেরে ফের ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে পতন ভারতের। সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক ফিফা উইন্ডোতে এশিয়ান কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ ছিল ভারতের। ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও দু’গোল খেয়ে হারতে হয় সুনীল ছেত্রীদের। 

কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে এখনও একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি ভারতীয় ফুটবল দল। পরপর হতাশাজনক ফলাফলের জেরে ব্লু টাইগাররা ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে ১৩৩ থেকে নেমে এসেছে ১৩৬ নম্বরে। ২০১৬ সালের নভেম্বরের পর এটাই ভারতের সর্বনিম্ন অবস্থান।

যা নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) মধ্যে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। ফেডারেশনের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে সমর্থকদেরও। সিঙ্গাপুরের কাছে পরাজয়ের ফলে ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারে মূল পর্বে ওঠার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে।

একইসঙ্গে আগামী বছরের ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকেও বিদায় নেওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের উপস্থিতি ক্রমেই ম্লান হয়ে পড়ছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভারত ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০০-এর মধ্যে ঢুকে ইতিহাস গড়েছিল।

কিন্তু তার পর থেকে শুরু হয় ভয়াবহ পতন। ২০২৩ সালের নভেম্বরের পর থেকে কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি ইগর স্টিমাচের পরের এই ভারতীয় দল। প্রায় দুই বছর কেটে গেল প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে জয়হীন অবস্থায়।

প্রশাসনিক অস্থিরতা ও কোচিং পরিবর্তনের মধ্যেও চলছে অনিশ্চয়তা। ইগর স্টিমাচকে বরখাস্ত করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্প্যানিশ কোচ মানোলো মার্কেজকে, কিন্তু সাফল্য আসেনি। অবশেষে দুই দশক পর ভারতীয় হিসেবে খালিদ জামিল দলের কোচের দায়িত্ব নেন।

তাঁর অধীনে খেলার মান কিছুটা উন্নত হলেও, কাঙ্ক্ষিত ফল আসছে না। দেশের ঘরোয়া ফুটবল নিয়েও একের পর এক প্রশ্ন উঠছে। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালটা ভারতীয় ফুটবলের জন্য এক বিস্মৃতির বছর বলেই ধরা হচ্ছে।

এখন একমাত্র লক্ষ্য এই পতন থামিয়ে ধীরে ধীরে পুনর্গঠন করে ঘুরে দাঁড়ানো। তবে তুলনামূলকভাবে সুখবর এসেছে মহিলা ফুটবল থেকে।সিনিয়র মহিলা দল টানা চারটি ম্যাচে জয় পেয়ে এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে দুর্দান্ত সূচনা করেছে এবং ব়্যাঙ্কিংয়ে পতনও রুখে দিয়েছে।

একই সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা দলও ২০ বছর পর প্রথমবারের মতো এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে যা নিঃসন্দেহে ভারতীয় ফুটবলের জন্য এক উজ্জ্বল দিক।