আজকাল ওয়েবডেস্ক: টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ইডেনে কি হারের গন্ধ পাচ্ছেন? পাঁচ দিনের পরিবর্তে কলকাতা টেস্ট হয়তো তিন দিনেই শেষ হতে চলেছে। ইডেন টেস্ট যে ভারত জিততে চলেছে, সেই গন্ধ ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে ভারতের সাজঘরে। তৃতীয় দিনেই হয়তো প্রোটিয়া-নিকেশ শেষ হয়ে যাবে ভারতের। ভারতে এসে চিরকালই দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যর্থ হয়েছে। এবারও যে সেটাই হতে চলেছে তা পরিষ্কার।
যতই প্রোটিয়া ব্রিগেড টেস্ট ফরম্যাটে বিশ্বশাসন করুক, যতই তারা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী হোক, ভারত ভূমিতে কিছু করা খুবই কঠিন তাদের পক্ষে। ইডেনে সেটাই দেখা গেল।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ১৫৯ রান। ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৮৯ রানে। ভারত তিরিশ রানে এগিয়ে থাকে প্রথম ইনিংসে। প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসে ভাঙন ধরান রবীন্দ্র জাদেজা। তিনিই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারদের সামনে মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে হাজির হন।
প্রোটিয়াদের ইয়ানসেনের পেস ও হারমারের স্পিনে ভারত কুপোকাৎ হয়। ভারতীয় ইনিংসে লোকেশ রাহুল (৩৯) সর্বোচ্চ রান করেন। পেস ও স্পিনের সঙ্গে সন্ধি করতে না পেরে ভারতের প্রথম ইনিংস দ্রুত শেষ হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের গোড়া থেকেই উইকেট পড়তে থাকে। দ্বিতীয় দিনের শেষে প্রোটিয়াদের রান ৭ উইকেটে ৯৩। দক্ষিণ আফ্রিকা ৬৩ রানে এগিয়ে। অক্ষর প্যাটেল বলে গেলেন, এই উইকেটে রক্ষণাত্মক নীতি চলবে না। মানসিক দিক থেকে আক্রমণাত্মক হতে হবে। আক্রমণই সেরা নীতি হওয়া উচিত। প্রোটিয়াদের ১২৫ রানের মধ্যে থামিয়ে ভারত প্রথম টেস্ট জিতে নিতে চাইবে।
রবীন্দ্র জাদেজা দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ সফল। প্রোটিয়াদের ইনিংসে দস নামানোর তিনিই নায়ক। কুলদীপ যাদবও তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন। পাঁচ ওভার হাত ঘুরিয়ে কুলদীপ নেন ২টি উইকেট। অক্ষর প্যাটেল নেন একটি উইকেট। অধিনায়ক বাভুমা (২৯) এখনও ক্রিজে দাঁত কামড়ে পড়ে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন করবিন বশ। তৃতীয় দিনের সকালে প্রোটিয়া ব্যাটাররা কতক্ষণ ভারতীয় বোলারদের গোলাগুলি সামলাতে পারেন সেটাই দেখার।
