আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপে শুরুটা দুদ্দাড়িয়ে করল সূর্যকুমার যাদবের ভারত। ২৭ বলে ম্যাচ জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে আমিরশাহি ১৩.১ ওভারে শেষ হয়ে যায় ৫৭ রানে। কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিতে কুপোকাৎ হন আমিরশাহি ব্যাটাররা।
শিবম দুবে ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে নেন তিনটি উইকেট। তাঁর ওভারেই দেখা গেল অদ্ভুত এক কাণ্ড। জুনাইদ সিদ্দিকি ব্যাট করছিলেন। তাঁকে ডেলিভারি করার সময়ে দুবের কোমরে আটকানো টাওয়েলটা পড়ে যায়। দুবের বলটা মারতে গিয়ে খোঁজা লাগে জুনাইদের ব্যাটে। উইকেটের পিছনে ক্যাচ ধরেন সঞ্জু।
আউটের আবেদন করেন ভারতীয়রা। তৃতীয় আম্পায়ারও আউট দেন। কিন্তু দুবের কোমর থেকে টাওয়েল পড়ে যাওয়ায় ব্যাটসম্যানের সমস্যা হয়। সেই কারণে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার ফিরিয়ে নেন জুনাইদকে। তবে তার পরও বেশিক্ষণ ক্রিজে টেকেননি জুনাইদ। দুবের বলে মারতে গিয়ে সূর্যর হাতেই ধরা পড়েন তিনি।
আউট হওয়ার পরও ব্যাটারকে ফিরিয়ে আনার সৌজন্য দেখানোয় সবাই জিজ্ঞাসা করতে শুরু করেছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ হলে কি সূর্য এমনটা করতেন? বিশেষজ্ঞ আকাশ চোপড়া জানিয়েছেন, পাকিস্তান ম্যাচ হলে সূর্যকুমার যাদব এমনটা করতেনই না। চোপড়া বলেছেন, ''আমার মনে হয় এটা ইভেন্ট স্পেসিফিক। ১৪ তারিখ পাকিস্তানের সলমন আঘা খেললে এমনটা হতই না।''
ভারতের বিরুদ্ধে কোনও দল সর্বনিম্ন টি-টোয়েন্টি স্কোর করল এদিন। আবার কোনও দলের বিরুদ্ধে দ্রুততম রান তাড়াও করল ভারত। একই ম্যাচে সর্বনিম্ন রানে ফেলে দেওয়া ও দ্রুততম রান তাড়া, দুটোই দেখা গেল এশিয়া কাপে।
আমিরশাহির ৫৭ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান অভিষেক শর্মা। পরের বলেই বাউন্ডারি। এক ওভারের শেষে ভারতের রান ছিল ১০। অবশ্য তৃতীয় বলে অভিষেকের ক্যাচ ফেলেন আমিরশাহির হায়দর আলি। ভারত যে খুব সহজেই ম্যাচ জিতে নেবে, এ জানা কথাই ছিল। কিন্তু কতক্ষণে শেষ হবে, তা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। অভিষেকের (১৬ বলে ৩০) উইকেট হারিয়ে ভারত ম্যাচটা জিতে নিল ৪.৩ ওভারে। বাকি দলগুলোর কাছেও কঠিন বার্তা দিল সূর্যর দল। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান গিল (২০) ও সূর্য (৭)।
চলতি মাসের ১৪ তারিখ এশিয়া কাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচ। ভারতের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। সেই ম্যাচের আগে কিন্তু পাক শিবিরকে একপ্রকার ভারত জানিয়ে দিল, তাঁরা তৈরি লড়াইয়ের জন্য।
আর কতদিন বসিয়ে রাখবেন? ধারাভাষ্যকাররা কি গৌতম গম্ভীরকে প্রশ্ন করলেন? হয়তো তাই। কুলদীপ যাদবের বল খেলতে হিমসিম অবস্থা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ব্যাটারদের।
কুলদীপের গুগলি ধরতে পারলেন না। তাঁর স্পিন আগে থেকে পড়তেই পারলেন না আমিরশাহি ব্যাটাররা। কুলদীপ এশিয়া কাপে নেমে সফল। অথচ এই কুলদীপকেই ইংল্যান্ড সফরে নামাতেই চাননি শুভমান গিল-গৌতম গম্ভীর। গোটা দেশে শুরু হয়ে গিয়েছিল চর্চা। কুলদীপকে খেলাও, টেস্ট বাঁচাও। গম্ভীর শোনেননি।
এশিয়া কাপে আমিরশাহির বিরুদ্ধে কুলদীপ নামলেন, চারটি উইকেট নিলেন। একসময়ে আমিরশাহির রান ছিল বিনা উইকেটে ২৬। কিন্তু ৫২ রানে পড়ে যায় সাতটি উইকেট। আমিরশাহির দুই ওপেনার শারাফু ও মহম্মদ ওয়াসিম কেবল দুই অঙ্কের রান করেন। বাকিরা এলেন আর গেলেন। বুমরাহ শুরুটা করেন। তার পরে ভারতের তিন স্পিনার-কুলদীপ, বরুণ ও অক্ষর উইকেট তুলে নেন।
আরও পড়ুন: সরকারের রোষানলে পড়ে দেশত্যাগ জকোভিচের, কোন দেশে রয়েছেন জোকার?
