আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত ৪ এবং পাকিস্তান ০। এই হল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের গত এক মাসের হিসাব। পাকিস্তানের অনেক সমর্থক এশিয়া কাপ ফাইনালের পর আশা রেখেছিলেন যে মহিলা দল বদলা নেবে। তাতেও জল ঢেলে দিলেন হরমনপ্রীত কৌররা। কলম্বোয় পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথম দুটি ম্যাচে জয় তুলে নিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। এদিন ৮৮ রানে ফাতিমা সানার দলকে হারিয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ২৪৭। ভারতের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানের সিদ্রা আমিন ছাড়া কেউই রান পাননি।

পাকিস্তান মাত্র ১৫৯ রানেই অল আউট হয়ে যায়। ক্রান্তি গৌর এবং দীপ্তি শর্মা তিনটি করে উইকেট নেন। ম্যাচে একবারের জন্যও মনে হয়নি যে পাকিস্তান ভারতকে চাপে ফেলেছে। মাঝে উইকেট না হারালেও ভারতীয় বোলাররা একের পর এক ডট বল খেলিয়েই চাপে ফেলে দিয়েছিলেন পাক ব্যাটারদের। ফলে, সেই চাপ নিতে না পেরে নিজেরাই উইকেট দিয়ে আসেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। তবে টিম ইন্ডিয়ার এদিনের পারফরম্যান্স পুরোপুরি দলগত। ব্যাট হাতে যেমন সকলেই কম বেশি অবদান রেখেছেন তেমনই বোলিং এবং ফিল্ডিংয়েও সকলের অবদান চোখে পড়েছে।

এদিন ফাতিমা সানা টসে জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান। বৃষ্টি এবং মেঘলা আবহাওয়ার কারণে ওভারকাস্ট কন্ডিশন ছিল। কিন্তু শুরুর দিকে স্মৃতি মান্ধানা এবং প্রতীকা রাওয়াল সেই সুইং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামলে নেন। ৩২ বলে ২৩ রান করে স্মৃতি ফিরে গেলে আসেন হার্লিন দেওল। তাঁর এবং প্রতীকার মধ্যে লম্বা একটা পার্টনারশিপ হয়। বৃষ্টির জন্য এদিনের পিচ স্লো হওয়ায় রান তোলার গতিও ছিল তুলনায় কম। প্রতীকা ফিরে গেলে অধিনায়ক হরমনপ্রীত চার নম্বরে নেমে ১৯ রান করেন। মিডল অর্ডারে জেমাইমা রড্রিগেজ, স্নেহ রানা এবং দীপ্তি শর্মা সকলেই ব্যাট হাতে অবদান রেখেছিলেন এদিন।

ফলে, গত ম্যাচে আমনজ্যোতের একার বড় ইনিংসের বদলে এদিন সকলের ব্যাট থেকেই রান আসে। শেষের দিকে রানের গতি বাড়াতে ২০ বলে ৩৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন বাংলার রিচা ঘোষ। এই রান যে পাকিস্তানকে আটকানোর জন্য পর্যাপ্ত তাও কার্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম উইকেট হারায় ৬ রানের মাথায়। মুনিবা আলি রান আউট হয়ে ফিরে যান।

বেশিক্ষণ ক্রিজে টেকেননি অন্য ওপেনার সাদাফ সামাসও। তিন নম্বরে নামা সিদ্রা আমিন ৮১ রানের লম্বা ইনিংস খেললেও একাধিক বার সুযোগ দিয়েছিলেন। ক্যাচ মিস, আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের ফলে বেঁচে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ওই সিদ্রার ক্রিজে থাকাটুকুই। উল্টোদিক থেকে সবই আয়ারাম গয়ারাম। একমাত্র নাটালিয়া পারভেজ ৩৩ রানের ইনিংস খেলে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু পেসার ক্রান্তিু গৌরের বলে ফিরে যান তিনিও। লোয়ার অর্ডারকে ফেরানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছিলেন দীপ্তি শর্মাই। উল্লেখ্য, এশিয়া কাপের চিত্র দেখা গেল এদিনও। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলালেন না হরমনপ্রীতরা। টসের সময়ও হ্যান্ডশেক করতে দেখা যায়নি দুই অধিনায়ককে। ম্যাচ জেতার পর আম্পায়ারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা সোজা হাঁটা দেন ড্রেসিংরুমের দিকে।