আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার বিতর্কে হ্যারিস রউফ। ক্রিকেটের বাইরের কারণে। সেই বিতর্ক ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের মাঝে হাতের ইশারায় ভারতের যুদ্ধবিমান রাফাল ধ্বংসের দাবি করেছেন রউফ। তবে এক বার নয়, ম্যাচ চলাকালীন দু’বার এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের পেসারকে বয়কটের দাবি উঠেছে।
ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীন ভারতের ইনিংসের সময় বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করছিলেন রউফ। তাঁর পিছনে গ্যালারিতে বসে থাকা ভারতীয় সমর্থকেরা ‘কোহলি, কোহলি’ বলে চিৎকার করেন। ২০২২ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতকে জেতানোর পথে রউফের পর পর দুই বলে দুই ছক্কা মেরেছিলেন বিরাট কোহলি। সেই কারণেই হয়তো কোহলির নাম করে রউফকে খোঁচা মারছিলেন ভারতীয় সমর্থকেরা। তখনই সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে রউফ এমন ভাবে হাতের ইশারা করেন, যাতে দেখে মনে হয় বিমান উড়তে উড়তে ভেঙে পড়েছে। বেশ কয়েক বার একই কায়দায় ইশারা করে দেখান তিনি। ভারতীয় ব্যাটার সঞ্জু স্যামসনকে আউট করে উল্লাস করার সময় আবার একই ইশারা করেন রউফ।
ম্যাচ চলাকালীন ভারতীয় সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে হাতের আঙুল দিয়ে ‘৬–০’ দেখান রউফ। ম্যাচের আগে অনুশীলনেও তিনি ৬–০ বলে চিৎকার করেছিলেন। রউফ মুখে কিছু না বললেও তাঁর ইশারা থেকে মনে হচ্ছে ভারতের যুদ্ধবিমান রাফাল ধ্বংসের কথা বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর পর পাকিস্তান দাবি করেছিল ভারতের ছ’টি রাফাল ভেঙেছেন তাঁরা। সেই দাবি উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। তারা জানায়, ভারতের একটি যুদ্ধবিমানও পাকিস্তান ভাঙতে পারেনি। হাতের ইশারায় বিমান ভাঙা বা ছয় সংখ্যা দেখিয়ে পাকিস্তানের সেই দাবিকেই আরও এক বার খুঁচিয়ে তোলেন রউফ।
পাকিস্তানের ক্রিকেটারের সেই ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেন তাঁর স্ত্রী মুজনা মাসুদ মালিক। সেখানে লেখেন, ‘ম্যাচ হেরেছি কিন্তু যুদ্ধ জিতেছি।” মুজনা বোঝাতে চেয়েছেন, পহেলগাঁও হামলা ও তার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর সময় দু’দেশের মধ্যে যে সংঘাত হয়েছিল তাতে জিতেছে পাকিস্তান। এই কাজ করে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন পাক ক্রিকেটারের স্ত্রী।
রউফ যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তার জন্য তাঁকে বয়কট করার দাবি জানিয়েছেন ভারতীয় সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন। নিজের দেশের সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানকে নিয়ে কিছু বলেননি। রউফ সেখানে ভারতকে নিয়ে মস্করা করার চেষ্টা করেছেন। সেই কারণে রউফের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
এ বারের এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের আগে থেকেই ক্রিকেটের বাইরের বিষয়ে আলোচনা চলছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের খেলা উচিত কি না তা নিয়ে তরজা চলেছে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জয়ের পর ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করেন। নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর জন্য ভারতীয় সেনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। একই কথা শোনা যায় ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীরের মুখেও।
সুপার ফোরের ম্যাচেও তার অন্যথা হয়নি। অর্ধশতরান করার পর বন্দুক চালানোর কায়দায় উল্লাস করেন ফারহান। অনেকের অভিযোগ, ভারতীয় ডাগ আউটের দিকে তাকিয়ে একে–৪৭ চালানোর কায়দায় উল্লাস করেছেন তিনি। সেই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন রউফ ও তাঁর স্ত্রী।
