আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্রথম টেস্ট হারের পর থেকে সমালোচনার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। গৌতম গম্ভীর সহ টিম ম্যানেজমেন্টকে কটাক্ষ করেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন হরভজন সিং। ১২৪ তাড়া করতে নেমে ৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। একমাত্র ওয়াশিংটন সুন্দর ছাড়া কেউ ৩০ রানের বেশি করতে পারেনি। টিম ইন্ডিয়ার হারের পর ইডেনের পিচ আতশকাঁচের নীচে। দ্বিতীয় দিন ১৫ উইকেট পড়ে।হরভজন মনে করেন, এই ধরনের পিচ টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষতি করছে। দাবি, উইকেট এরকম হলে, প্লেয়ার তৈরি হবে না। ভাজ্জি বলেন, 'ওরা টেস্ট ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য দুঃখ হয়। শান্তিতে থেকো টেস্ট ক্রিকেট। গত কয়েক বছর ধরে যে ধরনের পিচ বানানো হচ্ছে। আমি সবই দেখছি। কিন্তু এই নিয়ে কেউ কোনও কথা বলে না। কারণ দল জিতছে। কেউ উইকেট নিচ্ছে। কেউ সেই উইকেটগুলো নিয়ে মহান হচ্ছে। তাই সবাই ভাবে সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে। তবে এটা এখন থেকে শুরু হয়নি। বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে। আমার মতে, এটা ক্রিকেট খেলার ভুল ধরন। এইভাবে এগোনো যাবে না। হয়তো দল জিতছে, কিন্তু তাতে কোনও লাভ নেই। এইভাবে ক্রিকেটার হিসেবে উন্নতি করা সম্ভব নয়। তাই আমার মনে হয়, এবার এটা নিয়ে ভাবার সময় হয়ে গিয়েছে। এমন পিচে নিজেদের ব্যাটাররাই জানে না কিভাবে রান করতে হবে। কিন্তু দেখানো হচ্ছে, তাঁরা জানে। সবাই যদি পিচের জন্য আউট হয়, তাহলে যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।' 

পাঁচ দিনের টেস্ট উপমহাদেশে তিনদিন শেষ হওয়ায় একাধিকবার শিরোনামে এসেছে পিচ। ইডেন টেস্ট মাত্র আড়াই দিনে শেষ হয়ে যায়। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে শেষ হয়ে যায় টেস্ট। পিচ নিয়ে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের সালোচনা করা হচ্ছে। কলকাতায় পা রাখা মাত্রই ব়্যাঙ্ক টার্নারের দাবি জানায় টিম ম্যানেজমেন্ট। টেস্ট শেষে গৌতম গম্ভীর মেনে নেন, তাঁরা এইধরনের উইকেটই চেয়েছিলেন। রবিবার টেস্ট হারার পর গম্ভীর বলেন, 'এটা কোনওভাবেই খেলতে না পারার পিচ নয়। আমরা যেমন পিচ চেয়েছিলাম, ঠিক তেমনটাই তৈরি হয়েছে। কিউরেটর সুজন মুখার্জি অত্যন্ত সহযোগিতা করেছেন। যারা মানসিকভাবে শক্ত থেকে ডিফেন্স ভাল করেছে, তারাই রান করেছে। এই উইকেট আপনাকে পরীক্ষা করায়, মানসিকভাবে কতটা শক্ত, সেটাই বড় ব্যাপার।' নিজের বক্তব্যকে প্রমাণ তিনি প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমার অপরাজিত ৫৫ রান এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের ৯২ বলের ধৈর্যশীল ৩১ রানের উদাহরণ তুলে ধরেন। গম্ভীর বলেন, 'এই পিচে তেমন কোনও জুজু ছিল না। অক্ষর, তেম্বা, ওয়াশিংটন তিনজনই রান করেছে। যদি কেউ এটাকে টার্নিং ট্র্যাক বলে, মনে রাখবেন অধিকাংশ উইকেটই নিয়েছে সিমাররা।' ২২ নভেম্বর থেকে গুয়াহাটিতে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট।