আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিসিসিআই চাইলে সরিয়ে দিতে পারে। সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দিলেন গৌতম গম্ভীর।
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে। ২৫ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সিরিজ হারল ভারত। ঘরের মাঠে। ইডেনের পর গুয়াহাটিতে ৪০৮ রানে হার। টেস্টে এত রানে হারের সম্মুখীন ভারত আগে হয়নি।
চারিদিকে চলছে কোচ গম্ভীরের সমালোচনা। ওয়ানডে বা টি–টোয়েন্টি ঠিক আছে। কিন্তু টেস্টে কোচ গম্ভীর একেবারেই অচল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। তা গম্ভীরেরও অজানা নয়। তাই গুয়াহাটি টেস্ট হেরে গম্ভীর শুরুতেই জানিয়ে দিলেন, ‘এখানে আমি আর কী বলব। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডই নেবে সিদ্ধান্ত। আমি আগেও বলেছি ভারতীয় ক্রিকেট গুরুত্বপূর্ণ। কোচ গম্ভীর নয়।’ এরপরই কিছুটা সাফাইয়ের সুরে বলেছেন, ‘আমিই সেই ব্যক্তি যে ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ ড্র করে ফিরেছে। আমার কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়া কাপে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই দলটা এখনও শেখার পদ্ধতিতে রয়েছে।’
গম্ভীর আরও বলেছেন, হারের দায় সবার। কিন্তু সবটাই যেন আমার উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোচের কথায়, ‘দায় তো সবারই। তবে শুরুটা আমাকে দিয়েই হবে। আসলে এটাই হল রূপান্তরের (ট্রানজিশন) শুরু। আপনাকে সময় দিতেই হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘ব্যাটিং বা বোলিং আলাদা করে নয়। সব বিভাগেই হারতে হয়েছে। ব্যক্তিগত কাউকে নয়। এই হারের দায় সবার। আমি কখনও ব্যক্তিগত কাউকে দায়ী করি না।’
গম্ভীরের কোচিংয়ে ১৮ টেস্টের মধ্যে ভারত হেরেছে ১০ টেস্ট। নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ দিয়ে শুরু হয়েছিল। আর এখন প্রোটিয়াদের কাছেও হোয়াইটওয়াশ হতে হল। গম্ভীরের কথায়, ‘টেস্ট খেলার জন্য তারকা হতে হবে এরকম তো কোনও কারণ নেই। স্কিলের সঙ্গে মানসিক কাঠিন্য দরকার।’ এরপরই গম্ভীরের সংযোজন, ‘টেস্ট সাফল্য পেতে হলে সবাইকে মিলে চেষ্টা করতে হবে। ব্যক্তিগত আক্রমণ করে কোনও লাভ নেই।’
গত আইপিএল চলার সময়েই টেস্ট থেকে সরে যান বিরাট ও রোহিত। ভারতীয় কোচের মতে, এই তিন জনের শূন্যস্থান ভরাট করার জন্য আরও একটু সময় দিতে হবে তাঁর দলকে।
গম্ভীর তুলে ধরেছেন ওয়াশিংটন সুন্দরের কথা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ওয়াশিংটনকে যতটা বেশি সম্ভব সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। আপনি যদি ভাবেন ১০০–র বেশি টেস্ট খেলা অশ্বিনের মতো খেলে দেবে ওয়াশিংটন, তা হলে তরুণ ছেলেটার উপরে অবিচার করা হবে। এটা নিয়ে আপনাদেরও ভাবা উচিত। সবে ১০–১২–১৫টা টেস্ট খেলেছে ওরা। এখনও শেখার অনেক জায়গা রয়েছে। বিভিন্ন পরিস্থিতি, বিভিন্ন পরিবেশে বল করা শিখছে।’
এর পরেই গম্ভীর বলেছেন, ‘এত বেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে একসঙ্গে হারালে সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। এই জন্যই এটাকে রুপান্তর বলছি। এই ক্রিকেটারদের সময় দেওয়া দরকার। আমার মনে হয় না আগে কখনও একই সঙ্গে ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেই রুপান্তর হয়েছে বলে। আগে ব্যাটিং বিভাগ ভাল থাকত। বোলিং বিভাগে রুপান্তর হত। অথবা উল্টোটা। এই দলে পুরোটাই নতুন করে তৈরি হচ্ছে। সকলের এটা বোঝা উচিত, এই দলে যারা বসে আছে তাদের সেই যোগ্যতা এবং দক্ষতা রয়েছে। আমরা সকলেই টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা দেখতে চাই। সেটার জন্য অভিজ্ঞতা দরকার। এর পর যখন ওরা কঠিন পরিবেশে গিয়ে খেলবে, ঠিক কাজের কাজ করে দেবে।’
