আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের 'হেডস্যর' গৌতম গম্ভীরের বড় ফ্যান নন প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর। আগেও তিনি গম্ভীরের সমালোচনা করেছেন প্রকাশ্যে। ওভাল টেস্টের বল গড়ানোর আগেও সেই মঞ্জরেকরের তোপের মুখে গম্ভীর।
ইংল্যান্ড সফরে সবাই চাইছেন কুলদীপ যাদব প্রথম একাদশে থাকুন। কিন্তু চারটি টেস্ট হয়ে গেল বাঁ হাতি স্পিনারকে দেখা যায়নি। পঞ্চম টেস্টেও তিনি থাকবেন কিনা জানা নেই। সঞ্জয় মঞ্জরেকর মনে করেন কুলদীপ যাদবকে দলে না নেওয়ার পিছনে রয়েছেন গম্ভীর।
এই দলটা কার? অধিনায়ক শুভমান গিলের? নাকি কোচ গৌতম গম্ভীরের? সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার কিন্তু সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, দিনের শেষে শুভমান গিলকেই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।
আরও পড়ুন: ওভাল টেস্টের আগের দিন ভারতীয় দলের নেটে আচমকাই হাজির এই বোলার, খেলবেন নাকি?
ভারতের 'হেডস্যর' গৌতম গম্ভীরের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে সন্তুষ্ট নন। গম্ভীরের দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে মঞ্জরেকরের। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''কখনও কখনও ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ফর্ম দেখে অনেকেই মুগ্ধ হয়ে যান! কারণ কেউ কি অনুমান করতে পেরেছিলেন যে ওয়াশি টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ নম্বরে নেমে ব্যাটসম্যানের মতো ব্যাট করবে? জাদেজাও ৬ নম্বরে পুরোদস্তুর একজন ব্যাটসম্যানের মতো ব্যাট করবে। ঋষভ পন্থ দলে নেই। ভারতকে নিজেদের ব্যাটিং লাইন আপের উপরে আস্থা রাখতে হবে। আর কুলদীপ যাদবকে দলে ফিরে আসতে হবে। এই সিরিজে এমন অনেক মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল যেখানে অনেকেই কল্পনা করেছিলেন যে কুলদীপ ভারতীয় বোলিং আক্রমণের অংশ হবে।''

পাঁচ ম্যাচের সিরিজের ফলাফল এখন ২-১। ওভাল টেস্ট ভারতের কাছে ফাইনাল। মঞ্জরেকর বলছেন, ''আমরা সেই মুহূর্তগুলি নিয়েই কথা বলছি এবং সেই মুহূর্তগুলো তুলে ধরছি, যেখানে ভারত পার্থক্য তৈরি করতে পারত এবং ম্যাচটা জিততে পারত। সেই সব জায়গায় কুলদীপ যাদব সত্যিই কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারতেন। যা খবর ভেসে আসছে, তাতে পঞ্চম টেস্টেও হয়তো শার্দূল খেলবে। তবে আমার মতে কুলদীপের দলে সুযোগ পাওয়া উচিত।''
মঞ্জরেকর বলছেন, তিনি গৌতম গম্ভীরের ক্রিকেটীয় দর্শনে বিশ্বাসী নন। নিজের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করার জন্য গম্ভীর অন্য কাউকে খেলাতে চান না। প্রথম একাদশে একজন ভাল মানের বোলারের উপস্থিতি চান যে কুড়িটি উইকেট নিতে পারে।

ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মঞ্জরেকর বলছেন, ''আমরা কখনওই জানতে পারব না যে প্রথম একাদশ বাছাই করার ক্ষেত্রে কার ভূমিকা প্রধান। অধিনায়ক নাকি কোচ?নির্বাচকদের চেয়ারম্যানেরও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য থাকে। কিন্তু একথা বলতেই হবে প্রথম একাদশ নির্বাচনের ক্ষেত্রে গৌতম গম্ভীরই শেষ কথা। কারণ অস্ট্রেলিয়াতেও আমরা একই ধরনের জিনিস লক্ষ্য করেছি। ঘটনা হল যখন দল সংক্রান্ত কোনও নির্বাচন ঠিকঠাক হয় না, তখন বাকিদের ভুল প্রমাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সেই খেলোয়াড়কেই খেলিয়ে যেতে চায়। দ্বিতীয় দক্ষতার জন্য কাউকে বেছে নেওয়ার এই পদ্ধতির সঙ্গে আমি সহমত নই। শার্দূল ঠাকুর যদি আবার খেলে, তাহলে তাকে ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো পারফরম্যান্স দেখাতে হবে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে কুলদীপ যাদব খেলছে না।''
আরও পড়ুন: ফের মেসি ম্যাজিক, গোল করিয়ে আসল রাজা তিনিই
