আজকাল ওয়েবডেস্ক: দারুণ প্রতিভাবান বলে ধরা হত তাঁকে। সেই পৃথ্বী শ-ই বিপথগামী। দিগভ্রষ্ট তারকা। আইপিএলের মেগা নিলামে পৃথ্বী শ অবিক্রিত থেকে গিয়েছেন। তাঁর ফর্ম ও ফিটনেস নিয়ে নিন্দুকরা প্রশ্ন তুলেছেন। 'গেল গেল' রব উঠেছে সর্বত্র। সব মিলিয়ে নিলাম থেকেই ছিটকে গিয়েছেন পৃথ্বী শ।

কিন্তু পৃথ্বী শ কেন বিপথগামী হলেন? কেন তাঁর আকাশ হঠাৎই মেঘাচ্ছন্ন? পডকাস্টে পৃথ্বী শ-র কোচ জ্বালা সিং বলেছেন, ''২০১৫ সালে পৃথ্বী আমার কাছে এসেছিল। তিন বছর আমার কাছে ছিল। অত্যন্ত প্রতিভাবান পৃথ্বী। আমার কাছে যখন এসেছিল, তখন মুম্বইয়ের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৬ খেলেনি। ওর বাবা আমাকে অনুরোধ করে বলেছিলেন, ছেলেকে একটু দেখবেন। পরের বছর অনূর্ধ্ব ১৯ কোচবিহার ট্রফি খেলে। সিলেকশন ম্যাচগুলোয় বড় রান করেছিল। আমি সব কৃতিত্ব নেব না। ওর সঙ্গে অনেক কোচই কাজ করেছেন। কিন্তু যে সময়টার কথা বললাম, সেই সময়ে আমি একাই ছিলাম।'' 

এহেন পৃথ্বী শ-ই ধীরে ধীরে হারিয়ে গেলেন। যশস্বী জয়সওয়ালের উত্থান দেখল দেশের ক্রিকেটমহল। যশস্বীরও কোচ এই জ্বালা সিং। যশস্বী সম্পর্কে জ্বালা সিং বলছেন, ''আমরা ওয়ার্ক এথিকের কথা বলে থাকি। আমার মনে হয় শুধু প্রতিভাবান হলেই হবে না। প্রতিভা হল চারাগাছ। সেই চারাগাছকে মহীরূহ বানাতে হলে ধারাবাহিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ধারাবাহিকতা আসে জীবনযাত্রা থেকে, শৃঙ্খলা থেকে। আমার মতে এই ধারাবাহিকতা, এই শৃঙ্খলা পৃথ্বীর সঙ্গে ছিল না। শুরুটা ভাল কেউ করতেই পারে। পৃথ্বী শুরু করেছিল ভালই কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে হলে নিজের খেলার উন্নতি করতে হবে। এমনকী শচীন তেণ্ডুলকরও নিজের খেলাকে শাণিত করেছিল, ফিটনেসের উপরে জোর দিয়েছিল, মানসিক দিক থেকে নিজেকে আরও শক্তিশালী করেছিল। যশস্বীর কথা বলতে পারি, ওর এথিক  দুর্দান্ত। ও খুব পরিশ্রম করেছে। কী করতে হবে, সেই ব্যাপারে ওর দৃষ্টিভঙ্গি খুব পরিষ্কার। এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।''

একসময়ে শচীন তেন্ডুলকরের সঙ্গে অনেকেই পৃথ্বী শ-র তুলনা করতেন। কিন্তু সেই প্রতিভাধর পৃথ্বী শ নিজের প্রতি সৎ না থেকে হারিয়ে যাওয়ার মুখে। অনেকেই মনে করছেন, পৃথ্বী শ হয়তো বিনোদ কাম্বলির পথ ধরেছেন।