ইস্টবেঙ্গল-০ (৫) এফসি গোয়া-০ (৬)

আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইএফএ শিল্ড ফাইনালে টাইব্রেকারেই কপাল পুড়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। মোহনবাগানের কাছে হার মানতে হয়েছিল ১২০ মিনিট লড়াইয়ের পরও।  

মাণ্ডবী তীবেও একই পরিণতি হল লাল-হলুদের। সেই পেনাল্টি শুট আউটই ইস্টবেঙ্গলের কাছে মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে হাজির হল। সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হল এফসি গোয়া।

অথচ এমনটা কি হওয়ার ছিল? একের পর এক সুযোগ তৈরি, সেই সব সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পারা। তার উপরে পেনাল্টি শুট আউটে এগিয়ে থাকার পরেও ইস্টবেঙ্গল ধরে রাখতে পারল না সেই অগ্রগমন। মোক্ষম সময়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে বসল মহম্মদ রশিদ ও পিভি বিষ্ণুর পা। দুই লাল-হলুদ তারকার শট উড়ে গেল। সেই সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের স্বপ্নও ভেঙে গেল। প্রতিবার তীরে এসে তরী ডুবছে লাল-হলুদের। চলতি মরশুমে তিনটি টুর্নামেন্ট হয়েছে। ডুরান্ড কাপ দিয়ে শুরু। সেই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে থেমে যায় ইস্টবেঙ্গলের রথ। শিল্ডে ফাইনালে উঠেও ট্রফি যায়নি লেসলি ক্লডিয়াস সরণীতে। আর এবার সুপার কাপের ফাইনালে উঠেও ট্রফি আনা হল না কলকাতায়। 

এবারের ইস্টবেঙ্গল দল নিয়ে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন মরশুমের শুরুতে। কিন্তু তিনটি টুর্নামেন্ট হয়ে যাওয়ার পরেও একটা ট্রফি এল না ক্লাবতাঁবুতে। কেন ট্রফি আসছে না? টাইব্রেকারে কেন হার মানতে হচ্ছে? প্রচুর সুযোগ  তৈরি করেও কেন গোল করা যাচ্ছে না? ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁকে ভাবতে হবে। 

বলতে গেলে ম্যাচটা গোয়ার হাতেই তুলে দিল ইস্টবেঙ্গল। ১২০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পরে পেনাল্টি শুট আউটের প্রথম শটটাই মিস করেন বোরহা। তার পরে অবিশ্বাস্য ভাবে রশিদ উড়িয়ে দেন তাঁর শট। এদিকে গোয়া পিছিয়ে পড়েও পেনাল্টি শুট আউটে ফিরে আসে। সাডেন ডেথে হামিদ প্রথম গোল করেন। গোয়া শোধ করে। পিভি বিষ্ণুর দুর্ভাগ্য তিনি বল রাখতে পারলেন না গোলে। সাহিল তাভোরা গোল করে সুপার কাপ নিয়ে গেলেন গোয়ার ড্রেসিং রুমে।

অথচ এমনটা তো হওয়ার ছিল না। মিগুয়েল সহজ সুযোগনষ্ট করলেন খেলার শুরুতেই। মহেশও গোল করতে পারলেন না। দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদের জাপানি স্ট্রাইকার হিরোশির হেড হাতে জমা পড়ল হৃত্বিক তিওয়ারির। পিভি বিষ্ণুর শট গোলে ঢোকার আগে থামালেন হৃত্বিক। এত সুযোগ নষ্ট করলে জেতার আশা কি করা যায়? 

গোয়ার কাছেও অবশ্য গোলের  সুযোগ এসেছিল। ব্রাইসনের কামানদাগা শট পোস্টে প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে। ড্রেজিকের হেড হৃৎকম্প তুলে দিয়ে বাইরে যায়। মোরেনো স্যাঞ্চেজের মাঠমাঠ থেকে শট বারে লাগে ইস্টবেঙ্গলের। প্রভসুখান গিলের জন্য বেঁচে যায় লাল-হলুদ। ড্রেজিকের শট হাত ফস্কে বেরনোর পরে সিভেরিওকেও গোল করতে দেননি গিল। যাবতীয় লড়াই, যাবতীয় চেষ্টা শেষ হয়ে গেল রশিদ ও বিষ্ণু গোল করতে না পারায়। আগের বার দলগঠনে রক্তাল্পতা ছিল। ট্রফি আসেনি। এবার দলগঠন ভাল করেছে ইস্টবেঙ্গল। তবুও এখনও পর্যন্ত ট্রফিহীন লাল-হলুদ। ট্রফি খরা আরও কতদিন চলবে কেউ জানেন না।