আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বেতন মাসে মাত্র ১২ হাজার টাকা। সেই ঘরের ছেলে প্রশান্ত বীর আইপিএল নিলামে কোটিপতি।
আইপিএল নিলামের এটাই মজা। এক নিমেষে কেউ হয়ে উঠতে পারেন কোটিপতি। অভাবের ঘরে আলোর সন্ধান দিয়ে যায় এই নিলাম।
প্রশান্তকে দলে নেওয়া নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে এমন দড়ি টানাটানি শুরু হয় যে প্রশান্তকে ১৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় নেয় চেন্নাই সুপার কিংস।
এখনও পর্যন্ত প্রশান্ত বীর প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ২টি। স্বীকৃত ম্যাচ মাত্র ৯টি।
এখনও অনেক পথ যাওয়া বাকি প্রশান্তর। ৩০ লাখের প্রশান্ত বীরের দাম ১৪ কোটি ২০ লাখ হওয়ার পরেও অনেকেই মনে করছেন এই ছেলের মাথা ঘুরে যাবে না তো?
তিনি নিজেও হতবাক। আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে বেশি দামে বিক্রি হওয়া দুই আনক্যাপড খেলোয়াড়ের মধ্যে একজন প্রশান্ত। অন্যজন কার্তিক শর্মা।
নিলামে কোনও একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে দলে নেবে, এমনটাই ছিল প্রশান্তর আশা। চেন্নাই বিশাল অঙ্কে তাঁকে দলে নেওয়ায় প্রথমটায় অবাকই হয়েছেন প্রশান্ত। তাঁর ভাই চিমটি কেটে দেখেছেন প্রশান্ত বাস্তবে রয়েছেন কিনা।
মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার। প্রশান্ত নিজেও চাইছিলেন সিএসকে-তে খেলবেন। তাঁর প্রার্থনা শুনেছেন ঈশ্বর।
প্রশান্তর ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পিছনে বড় অবদান তাঁর দাদু প্রয়াত সূর্যকুমার ত্রিপাঠীর। দাদু নিজের পেনশনের অর্থ দিয়ে নাতিকে ক্রিকেট খেলা শেখাতে থাকেন। সদ্য কোটিপতি হওয়া ক্রিকেটারের বাবা তখন ৮ হাজার টাকা পেতেন।
দাদু মারা যাওয়ার পরে প্রশান্ত ভেবেছিলেন ক্রিকেট বোধহয় ছেড়ে দিতে হবে। কোচ রাজীব গোয়েল তাঁকে নিয়ে যান সাহারানপুর জেলা ক্রিকেট সংস্থার চেয়ারম্যানের কাছে। তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
সেই প্রশান্ত বীর আইপিএল-এর নিলামে এবার কোটিপতি ক্রিকেটার।
