আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় দিন চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল। দক্ষিণ আফ্রিকা বোলার হার্মারের বলে চার মারার পরই মাঠ ছাড়েন শুভমান। শট মারতে গিয়ে পেশিতে টান লেগেছে তাঁর। ভারতীয় দলের ফিজিও মাঠে আসেন। শুভমান স্বস্তি বোধ না করায় উঠে যান।
দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ধৈর্য ধরেই করেছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার ওয়াশিংটন সুন্দর ও লোকেশ রাহুল। কিন্তু প্রোটিয়া পেসারদের প্রাথমিক দাপট সামলে ঠিক যখন মনে হচ্ছিল বড় পার্টনারশিপ গড়বেন তাঁরা, তখনই হার্মারের মারণ ঘূর্ণির শিকার হলেন সুন্দর। প্রথমবার ৩ নম্বরে ব্যাট করতে এসে ৮২ বলে ২৯ করলেন ওই অলরাউন্ডার। সুন্দর প্যাভিলিয়নে ফেরার পর আরও বড় ধাক্কা খেল ভারত।
ভাল ফর্মে থাকা অধিনায়ক শুভমান গিল নেমে ৩ বল খেলেই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন। গিলকে ঝকঝকে দেখাচ্ছিল। ৩ বলের মধ্যে একটি ভাল বাউন্ডারিও মারেন। কিন্তু তারপরই ঘাড়ের কাছে ব্যথা অনুভব করেন ভারত অধিনায়ক। শেষমেশ ওই ব্যথা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। টিম ইন্ডিয়ার আশা, অধিনায়কের চোট গুরুতর কিছু নয়।
জানা গিয়েছে শুভমানের ঘাড় শক্ত হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় দলের ফিজিও মাঠে নেমে চেষ্টা করেও স্বাভাবিক করতে পারেননি। শুভমানের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতীয় শিবির থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর সাজঘর এবং মাঠের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে সমস্যা হয়ে থাকতে পারে শুভমানের। তবে আশা করা হচ্ছে, পরের দিকে ব্যাট করতে নামবেন শুভমান। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির মধ্যে অধিনায়ককে মাঠে নামার জন্য তৈরি করে ফেলবেন ভারতীয় দলের মেডিক্যাল স্টাফরা।
গিলের বদলে ব্যাট করতে নেমে সহ–অধিনায়ক ঋষভ পন্থ অবশ্য স্বমহিমায় খেলছিলেন। কেশব মহারাজকে বড়সড় ছক্কা হাঁকিয়ে নতুন রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। ভারতীয়দের মধ্যে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিক এখন পন্থই। টেস্টে তাঁর ছক্কার সংখ্যা ৯১। আগে এই রেকর্ড ছিল শেহবাগের দখলে। তিনি হাঁকিয়েছেন ৯০ ছক্কা। রোহিত শর্মার ছক্কা সংখ্যা ৮৮।
তবে মাত্র ২৪ বলে ২৭ করেই শর্ট বলে ফেরেন পন্থ। আউট হয়ে গিয়েছেন লোকেশ রাহুলও। ৩৯ রান করেছেন তিনি। তবে টেস্টে চার হাজার রান পূর্ণ হল রাহুলের। ৬৬ তম টেস্টে মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ভারতের রান ১৩৮/৪। খেলছেন জাদেজা ও ধ্রুব জুরেল।
এদিকে, নজির গড়েছেন জাদেজাও। কপিলদেব, ইয়ান বথামদের পাশে নাম লিখিয়ে ফেললেন ভারতের এই অলরাউন্ডার। চতুর্থ ক্রিকেটার হিসাবে টেস্টে একই সঙ্গে চার হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের মালিক হলেন জাদেজা।
টেস্টে জাদেজার উইকেটসংখ্যা ৩৩৮। শনিবার ইডেনে ৪ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি। মাত্র ৩ জন অলরাউন্ডারের এই রেকর্ড আছে। টেস্ট ইয়ান বথামের রান ও উইকেট যথাক্রমে ৫২০০ ও ৩৮৩। কপিলদেবের রানসংখ্যা ৫২৪৮, উইকেট সংখ্যা ৪৩৪। ড্যানিয়েল ভেত্তোরির উইকেট সংখ্যা ৩৬২, সঙ্গে ৪৫৩১ রানও করেছেন তিনি। তারপরই রবীন্দ্র জাদেজার ৪ হাজার রান ও ৩৩৮ উইকেট। এই কীর্তি তিনি গড়লেন দ্বিতীয় দ্রুততম ক্রিকেটার হিসাবে। জাদেজা ৮৭ টেস্টে এই মাইলফলক ছুঁলেন। বথাম এই কীর্তি গড়েছিলেন ৭২ ইনিংসে। তারপরই জাদেজার নাম।
