আজকাল ওয়েবডেস্ক: সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের মুখ্য রেফারিং অফিসার ট্রেভর কেটেল সোমবার জানিয়ে দিলেন শনিবারের ডার্বিতে পিভি বিষ্ণুর মারা বল আপুইয়ার হাতে লাগলেও তা হ্যান্ডবল নয়।
এই ট্রেভর কেটেল সম্পর্কে প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। কুয়াদ্রাতকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ''আমি যদি ভুল করি, তাহলে বার্সোলানায় কাজ পাব না। কিন্তু এখানকার রেফারিরা নিয়মিত ভুল করে চলেছেন। এটা পরিষ্কার যে আমাদের সিস্টেমে বদল আনতে হবে। প্রশ্ন এখানেই যে গোটা সিস্টেমের মাথায় কে আছেন? তিনি ট্রেভর কেটেল। ভিডিও খুঁজলে অনেক জিনিস দেখতে পাবেন যেখানে খেলাটার প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে ওই লোকটা। এই লোকটা যদি কোনও সিস্টেমের মাথায় বসে তাহলে রেফারিদের সম্পর্কে আমি আর কী বলতে পারি!''
ট্রেভর কেটেলের অভিজ্ঞতা কম নয়। আটশোর বেশি পেশাদার ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগের সহকারী রেফারি ছিলেন। টটেনহাম হটস্পার-ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের ফুটবল লিগ কাপের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেন। লিভারপুল-আর্সেনালের কমিউনিটি শিল্ড ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে রেফারিদের ন্যাশনাল লিস্টে উত্তীর্ণ হন তিনি। সেই কেটেলের রেফারিং জীবন ছিল খুবই কুখ্যাত। যেদিন রেফারিং থেকে অবসর নেন, সেদিন সবাই আনন্দে মাতোয়ারা হন। ২০ বছরের রেফারি জীবনে তিনি ছিলেন খুবই বিতর্কিত। মুড়িমুড়কির মতো কার্ড দেখাতেন। রেফারি হিসেবে তাঁর প্রথম বছরে সাতটি লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন দশটি ম্যাচে।
২০০২-০৩ মরশুমে রেফারিদের ন্যাশনাল লিস্টে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২৮টি ম্যাচে ১৩১টি হলুদ কার্ড ও ১৩টি লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন। তাঁর শেষ মরশুমে ১৫টি ম্যাচে কেটেল ৫৬টি হলুদ এবং ৬টি লাল কার্ড দেখান। তবে সবচেয়ে কুখ্যাত সিদ্ধান্ত ২০১৬-র মার্চে। অ্যাক্রিংটন স্ট্যানলি এবং এএফসি উইম্বলডন ম্যাচে অভাবনীয় কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন এই ট্রেভর কেটেল। বিরতির আগে খেলার ফল ছিল ০-০। অ্যাক্রিংটন গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। বিরতির তখনও কিছু সময় বাকি। বিলি কি গোল করে দেন অ্যাক্রিংটনের হয়ে। সেই সময়ে ট্রেভর কেটেল গোলের বাঁশি না বাজিয়ে বিরতির বাঁশি বাজিয়ে দেন। গোল বাতিল হয়ে যায়। সবাই বিভ্রান্ত হয়ে যান রেফারির এহেন সিদ্ধান্তে। অ্যাক্রিংটনের ম্যানেজার জন কোলম্যান বলেছিলেন, ''আমার ৪৬ বছরের খেলোয়াড় ও ম্যানেজার জীবনে এমন ঘটনা দেখিনি।'' কুয়াদ্রাত এই ঘটনার কথাই বলেছিলেন। শেষ মেশ তাঁর অবসরের কথা যখন ছড়িয়ে পড়ে, তখন ফুটবলপ্রেমী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলো আনন্দিত হয়। এতটাই কুখ্যাত ছিলেন ট্রেভর কেটেল।
