ইস্টবেঙ্গল-৩ পাঞ্জাব-১
(রশিদ, কেভিন, সল) (রামিরেজ)
আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বস্তি-অস্বস্তির সুপার কাপের ফাইনালে অবশেষে ইস্টবেঙ্গল। মাণ্ডবী তীরে ভেসে গেল পাঞ্জাব এফসি। উৎসবের এক সন্ধ্যা নামল গোয়ায়। স্বস্তি ফিরল লাল-হলুদ ভক্তদের মনে। সেই সঙ্গে অস্বস্তির মেঘও উড়ল। ফাইনালে যে ডাগ আউটে থাকবেন না ইস্টবেঙ্গলের হেডস্য়র অস্কার ব্রুজোঁ। দল ফাইনালে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য নামবে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাব। কিন্তু হেডস্যরের হাতে থাকবে না দলের রিমোট কন্ট্রোল। কিন্তু এই ইস্টবঙ্গল তৈরি। জয়ের খিদে রয়েছে। বলতে গেলে, কলকাতার মশালবাহক এখন লাল-হলুদ ব্রিগেডই।
অস্বস্তি নিয়েই সুপার কাপে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। বল গড়ানোর আগেই হেডকোচ অস্কার ব্রুজোঁর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে লাল-হলুদ শিবির ছেড়ে চলে এসেছিলেন গোলকিপিং কোচ সন্দীপ নন্দী। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সন্দীপ-অধ্যায় পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে লাল-হলুদ।
বুধবার সেমিফাইনালে পাঞ্জাবকে ১-৩ গোলে মাটি ধরিয়ে ফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করে নিল কলকাতার ক্লাব। তবুও অস্বস্তির খচখচানি যে থেকেই গেল। বিরতির ঠিক আগে ইস্টবেঙ্গল ২-১ করে এগিয়ে যাওয়ার সময়ে লাল কার্ড দেখতে হল অস্কারকে। গোটা দ্বিতীয়ার্ধে তিনি ছিলেন না ডাগআউটে। ফাইনালেও তিনি নেই।
শিল্ড ফাইনালের পরে আরও একটা টুর্নামেন্টের ফাইনালে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাব। আরও একবার মরিয়া লাল-হলুদকে দেখার প্রত্যাশায় ভক্তরা।
১২ মিনিটেই রশিদের জোরালো শট এগিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গলকে। পাঞ্জাবের পেনাল্টি বক্সের বাইরে শট নিয়েছিলেন প্যালেস্তাইনের তারকা। কিন্তু গোল করার পরেও গোল হজম করার রোগ থেকেই গেল ব্রুজোঁর দলের। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন পাঞ্জাবের রামিরেজ। রিকি হেড করেছিলেন। সেই বল বিপিনের হাতে লাগলে রেফারি পেনাল্টি দেন।
বিরতির ঠিক আগে স্বস্তি ও অস্বস্তি একই সঙ্গে ধরা দিল ইস্টবেঙ্গলে। কেভিন সিবিয়ে হেডে ২-১ করেন। আর গোলের পরে চতুর্থ অফিসিয়ালের সামনে উদযাপন করায় লাল কার্ড দেখতে হয় অস্কারকে। তার আগের মুহূর্তেই স্প্যানিশ কোচকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছিল তর্ক করার জন্য।
ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ পকেটস্থ করে ফেলে ৭১ মিনিটে। মিগুয়েলের পাস থেকে ৩-১ করেন সল ক্রেসপো। তার পরে পাঞ্জাব আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গল ফাইনালের পাসপোর্ট জোগাড় করল। আরও একটা ট্রফির সামনে অস্কারের দল। কার্লেস কুয়াদ্রাত এক যুগ পরে ট্রফি বুভুক্ষু এক ক্লাবে সুপার কাপ এনেছিলেন। এবার কি সেই কীর্তি গড়বেন অস্কারের ছেলেরা? আশায় বুক বাঁধছেন লাল-হলুদ সমর্থরা। তাঁরা বলছেন, শুরু হয়েছে স্বপ্নের দৌড়। এই দৌড় যেন না থামে।
