আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে লেখা হল, একটাই তো মন, কতবার জিতবে রশিদ ভাই? 

রশিদ মন জিতে নিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। সুপার কাপ সেমিফাইনালে তিনি গোল করলেন। দলকে এগিয়ে দিলেন। আবার তাঁর গোল উৎসর্গ করলেন বন্ধুকে। 

প্যালেস্টাইনের জাতীয় দলের তারকা রশিদ সব অর্থেই টিম ম্যান। তিনি লিডার। দলের মেরুদণ্ড। 

ফুটবল মাঠে তিনিই আবার রাফ অ্যান্ড টাফ। তিনি গোল করেন। আবার প্রতিপক্ষের আক্রমণ নষ্ট করেন। 

সেই মহম্মদ রশিদ এদিন ১২ মিনিটে জোরালো শটে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন। পরে অবশ্য পাঞ্জাব পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরায়। শেষমেশ ইস্টবেঙ্গল মশাল জ্বালায় মাণ্ডবী তীরে। 

গোল করার পরে গ্যালারির দিকে হাতটা উঁচু করে দেখালেন। তার পরে চুম্বন ছুড়লেন। 

গ্যালারিতে প্রভাত লাকরার সঙ্গে তখন বসে হামিদ আহদাদ। মরোক্কান স্ট্রাইকার এদিন পায়ে অস্বস্তি বোধ করায় কোচ অস্কার ব্রুজোঁ আর ঝুঁকি নেননি। হামিদকে  স্কোয়াডে রাখা হয়নি। সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বন্ধু মাঠের বাইরে। তাই রশিদ গোল করে আহদাদের উদযাপন অনুকরণ করলেন। গোলটা উৎসর্গ করলেন মরোক্কান তারকাকে। 

একসময়ে রশিদ ও হামিদ ছিলেন একে অপরের প্রতিপক্ষ। ইস্টবেঙ্গল তাঁদের মিলিয়ে দিয়েছে। 

মরশুমের গোড়ায় ইস্টবেঙ্গলের টিম হোটেলে সদ্য পা রাখা হামিদকে  স্বাগত জানাতে দেখা গিয়েছিল রশিদকে। দু'জনেই আরবি ভাষায় কথা বলেন। বছর ছয়েক আগে হামিদ ও রশিদ একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে মুখোমুখিও হয়েছিলেন। তখন হামিদ খেলতেন মরোক্কোর জনপ্রিয় ক্লাব রাজা কাসাব্লাঙ্কায়। আর রশিদের পিঠে ছিল প্যালেস্তাইনের হিলাল আল কুদসের জার্সি। 

আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স কাপের প্রথম রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিলেন হামিদ ও রশিদ। সেও ছ'বছর আগের প্রতিযোগিতায়। প্রথম লেগে রাজ কাসাব্লাঙ্কা ১-০ গোলে হারায় হিলাল আল কুদস ক্লাবকে। দ্বিতীয় সাক্ষাতেও রশিদের দল হার মানে হামিদের রাজা কাসাব্লাঙ্কার কাছে। সেই ম্যাচের ফলাফল হয়েছিল ২-০। অর্থাৎ দু'বারই হামিদ জেতেন। রশিদ জেতার সুযোগ পাননি হামিদের বিরুদ্ধে। 

এখন দুই তারকার একই মন্ত্র--ইস্টবেঙ্গল। তাঁদের দু'জনের শ্বাসপ্রশ্বাসে লাল-হলুদ। হামি আজ নামতে পারেননি। কিন্তু বন্ধুকে গোল উৎসর্গ করলেন প্যালেস্তাইনের রশিদ। এবার হামিদের ফিরিয়ে দেওয়ার পালা।