আজকাল ওয়েবডেস্ক: আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা। তারপরই মান্ডবীর তীরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নামবে অস্কার ব্রুজোর দল। প্রতিপক্ষ হোম টিম এফসি গোয়া। সুপার কাপের ইতিহাসে এই নিয়ে তিনবার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। ২০১৮, ২০২৪ সালের পর এবার আবার। কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে শেষবার সুপার কাপ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। এবার আবার ট্রফি জয়ের হাতছানি। দু'বার তীরে গিয়ে তরী ডুবেছে। ডুরান্ড কাপ এবং আইএফএ শিল্ডে অল্পের জন্য ট্রফি হাতছাড়া হয়েছে। এবার সেই আক্ষেপ বয়ে বেড়াতে চান না অস্কার। চায় না তাঁর দলের ছেলেরাও। গোয়ার ডেরায় ম্যাচ হলেও সমর্থকদের মাঠ ভরানোর আর্জি জানান মহম্মদ রশিদ, কেভিন সিবিলে এবং সল ক্রেসপো। 

সেমিফাইনালে রশিদের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। টাইব্রেকারে শিল্ড হার এখনও ভুলতে পারেননি। কোয়ার্টার ফাইনালের পর একটা লম্বা বিরতি থাকায় শুরুতে কিছুটা ছন্দপতন হয়। কিন্তু সেটা ম্যাচে প্রভাব ফেলেনি। সেই ছন্দ ধরে রেখেই বাজিমাত করতে চান ইস্টবেঙ্গলের মিডিও। রশিদ বলেন, 'মরশুমে দ্বিতীয় ফাইনালে উঠতে পেরে দারুণ লাগছে। আমি শুরুতেই গোল করে দলকে সাহায্য করতে পেরে খুশি। ব্যক্তিগত সাফল্য আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা প্রত্যেক ম্যাচে উন্নতি করছি। পেনাল্টিতে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে হার দুঃখজনক ছিল। তবে আমরা সুপার কাপ জেতার বিষয়ে আশাবাদী। আশা করছি আমরা মোটিভেশন ফাইনাল পর্যন্ত ধরে রাখতে পারব। প্রায় এক মাস আগে আমরা শেষ ম্যাচ খেলেছি। তাই সেমিফাইনালে প্রথমদিকে একটু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু ম্যাচের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছন্দ ফিরে পেয়েছি। আশা করছি আমরা ফাইনালের বাধা পেরোতে পারব এবং গোয়া ও কলকাতায় সেলিব্রেট করতে পারব।' 

লাল হলুদ জার্সিতে প্রথম মরশুমে দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠতে পেরে খুশি কেভিন সিবিলে। ফ্যানদের খেলা দেখতে আসার আহ্বান জানালেন। সিবিলে বলেন, 'ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে এটা আমার প্রথম মরশুম। আমরা দ্বিতীয় ফাইনাল খেলছি। পাঁচ মাসের ট্রেনিং নিজেদের শক্তি এবং দুর্বলতা বুঝতে সাহায্য করেছে। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি গোল করতে পেরে খুশি। যেসব ফ্যানরা স্টেডিয়ামে এসেছে আমাদের সমর্থন করতে, তাঁদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আশা করছি ফাইনালে আরও ফ্যান আসবে।' গোয়ার স্ট্যান্ড ভরানোর আবেদন জানান সল ক্রেসপোও। সেমিফাইনালে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে গোল পেয়েছিলেন। রবিবার ফাইনালেও গোয়ার জালে বল রাখতে চান।