আজকাল ওয়েবডেস্ক: রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। কোচ থেকে কর্তা, হারের কারণ হিসেবে রেফারিংকেই দায়ী করলেন। প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ এবং একইসঙ্গে হতাশ অস্কার ব্রুজো। কোনওভাবেই জিকসনের লালকার্ড মেনে নিতে পারছেন না। দাবি, রেফারি তাঁদের ছোট ক্লাব হিসেবে ট্রিট করছে। অস্কার বলেন, 'জিকসনের লালকার্ড মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। রেফারি আমাদের সঙ্গে ছোট ক্লাবের মতো ব্যবহার করছে। আমরা ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে খেলছি। বল আগলানোর সময় ফুটবলারদের হাতের পজিশন এরকমই থাকে। রেফারির এই বিষয়ে আরও ধারণা থাকা উচিত ছিল। কোনও বডি কন্টাক্ট হয়নি। এটা কোনওভাবে লালকার্ড নয়। আমাদের প্লেয়ারদের লালকার্ড দেখানো সহজ। আমাদের বিরুদ্ধে পেনাল্টি দেওয়া সহজ। আমাদের ন্যায্য পেনাল্টি না দেওয়া সহজ। এটা প্রথমবার হচ্ছে না। রেফারির ম্যাচের ওপর কন্ট্রোল থাকা উচিত ছিল।' 

ম্যাচ শেষে রেফারিং নিয়ে বিস্ফোরক দেবব্রত সরকার। চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা। দেবব্রত সরকার বলেন, 'শুধু লাল কার্ড কেন, একাধিক ঘটনা রয়েছে যেখানে আমাদের হলুদ কার্ড হয়েছে, ওদের হয়নি। বহু ঘটনা আছে যেখানে ফাউল হওয়া উচিত নয়, কিন্তু ফাউল হয়েছে। আমরা একটা ভুল করেছি, রেফারি নিয়োগ করতে পারিনি। হয়তো অন্যান্য দলগুলো সেটা করতে পেরেছে। এই জায়গাটায় আমাদের ব্যর্থতা আছে। চোট খেলার অঙ্গ। সেটা থাকবে। তার জন্য পরিবর্ত ফুটবলার নেওয়া যাবে। কিন্তু এরকম রেফারিং হলে কী করে হবে! এরকম রেফারিং হলে তো কিছু করতে পারব না। শুধু তেজাস না, বহু চক্র আছে। আমার মনে হয়, কোনও নির্দেশাবলী থেকে হচ্ছে এগুলো। কে নির্দেশ দিচ্ছে সেটা ধরতে পারছি না। কতবার রেফারিং নিয়ে অভিযোগ জানাব? কাগজপত্র ফাইল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছু লাভ হচ্ছে না। দেখি এবার রাস্তায় নামতে হবে কিনা।'

শুধু হার নয়, এদিন জোড়া ধাক্কা লাল হলুদ শিবিরে। ম্যাচের শুরুতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মাদি তালাল। হাঁটুর চোট গুরুতর। মাটিতে পা ফেলতে পারছেন না। ম্যাচ চলাকালীন বেঞ্চে ক্রাচ নিয়ে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের ফরাসি প্লেমেকারকে। খেলা শেষে কোনওরকমে ক্রাচের সাহায্যে গাড়িতে ওঠেন। চোখে-মুখে যন্ত্রণা স্পষ্ট। তালালের চোট গুরুতর, জানান অস্কার। শুক্রবার এমআরআই হবে। তবে পরিস্থিতি যা, দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকতে হবে। বাকি মরশুম থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তালালের চোট নিয়ে খুব একটা আশাবাদী শোনাল না অস্কার ব্রুজোকে।