আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'ইসকা নাম হ্যায় বিরাট কোহলি'। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচ জয়ের পর এটা বললে বোধহয় ভুল হবে না। প্রথম দুই ম্যাচে শূন্য। প্রাক্তনীদের অনেকেই খরচের খাতায় ফেলে দেন। ২০২৭ বিশ্বকাপ দূর অস্ত, বেশ কয়েকজন ক্রিকেট পণ্ডিত এই সিরিজকেই কোহলির শেষ বলে দাবি করে বসেন। কিন্তু দেওয়াল লিখন ভিন্ন ছিল। যা পড়তে পারেনি তাঁরা। ফর্মে ফেরার জন্য দুটো ম্যাচ নিলেন কোহলি।

প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর চাপ ক্রমশ বাড়ছিল। যা স্পষ্ট তারকা ক্রিকেটারের আচরণ থেকে। প্রথম রান পাওয়ার পর স্টেডিয়ামের সঙ্গে সঙ্গে বিরাটকেও সেলিব্রেট করতে দেখা যায়। হাত মুঠো করে শূন্যে ছোড়েন। ৩০৫তম একদিনের আন্তর্জাতিকে আরও একটি অর্ধশতরান তুলে নেন। ভেঙে ফেলেন শচীন তেন্ডুলকরের রেকর্ড। এর আগে একদিনের ক্রিকেটে রান তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে বেশি ৫০ এর বেশি রান ছিল মাস্টার ব্লাস্টারের। এদিনের ম্যাচ নিয়ে ৭০ এর বেশি অর্ধশতরান হয়ে গেল বিরাটের। এছাড়াও আরও একটি রেকর্ড করেন। একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারাকে ছাপিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে চলে এলেন বিরাট। 

আরও পড়ুন: 'রোহিত কিন্তু ...', ছাত্র সম্পর্কে বড় মন্তব্য কোচ দীনেশের, গোটা দেশকে জানিয়ে দিলেন রোহিতের ভবিষ্যৎ

কোহলির উপরে আত্মবিশ্বাস রয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারের। তিনি বলছেন, ''এটা বিরাটের জন্য ভাল প্রশ্ন। খিদে যদি থাকে এবং খেলার ইচ্ছা যদি থাকে এবং ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলার ইচ্ছা থাকলে কোনও সমস্যাই নেই। অন্যতম ফিট খেলোয়াড়। সেই সঙ্গে ভাল বাবা ও ভাল স্বামী। বিরাট পারবে না এ ব্যাপারে আমার মধ্যে কোনও সন্দেহই নেই। তবে আগের মতো প্যাশন নিয়ে খেলতে পারছে কিনা, সেটা একান্ত ভাবেই বিরাটের উপরে নির্ভর করছে।'' 

একদিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান শচীনের।‌ ৪৫২ ইনিংসে ১৮,৪২৬ রান করেন। ২৯৩ ইনিংসে ১৪,২৩৫ রান কোহলির। তিনে সাঙ্গাকারা। ৩৮০ ইনিংসে ১৪,২৩৪ রান। চতুর্থ স্থানে রিকি পন্টিং। ৩৬৫ ইনিংসে তাঁর রান ১৩,৭০৪। পঞ্চম স্থানে সনৎ জয়সূর্য। তাঁর রান ১৩, ৪৩০। সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ একদিনের ম্যাচে কোহলিকে স্ট্রাইক রোটেট করার পরামর্শ দেন ইরফান পাঠান। তিনি দাবি করেন, একবার রান পেলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না কোহলিকে। 

জিওস্টারে সাক্ষাৎকারে ইরফান জানান, ভারতীয় দলের সাফল্যের জন্য বিরাট কোহলির ফর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইরফান বলেন, 'বিরাট কোহলির ফর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রাইক রোটেট করে স্কোরবোর্ড সচল রাখতে হবে। এটা করতে শুরু করলে, প্রতিপক্ষের ওকে আটকানো কঠিন। আশা করব তাড়াতাড়ি স্ট্রাইক রোটেট করা শুরু করবে। কিছু রান পাক। সেটা পেলে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না।' ইরফানের কথাই সত্যি হল। তৃতীয় তথা শেষ একদিনের ম্যাচে রানে ফিরলেন কোহলি। হয়তো সত্যিই আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। আশা করা যাচ্ছে, ২০২৭ বিশ্বকাপে দেখা যাবে সুপারস্টারকে। 

আরও পড়ুন: একটা ম্যাচই বিশ্বকাপের দরজা হয়তো খুলে দিল, তারকা ক্রিকেটারকে নিয়ে কী বললেন গিল? ...