আজকাল ওয়েবডেস্ক: লখনউ ম্যাচ কুয়াশায় পরিত্যক্ত হয়েছে। এরপরেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ডিসেম্বরের এই সময় উত্তরপ্রদেশে ঘন কুয়াশা পড়ে। সব জেনেও কেন লখনউয়ে ম্যাচ দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। প্রশ্ন তুলেছেন ডেল স্টেইন, রবীন উথাপ্পার মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।
শুধু তাই নয়, ধর্মশালার ঠান্ডাতেও ভাল রকম কেঁপে গিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। দু’দলের ক্রিকেটাররাই জানিয়েছেন এমন পরিস্থিতির মধ্যে তাঁরা আগে কখনও খেলেননি। ধর্মশালায় ম্যাচের দিন সন্ধেয় তাপমাত্রা সাত–আট ডিগ্রির মতো ছিল। রাত বাড়তেই তাপমাত্রা আরও কমতে থাকে। ঠান্ডা কম ছিল না লখনউয়েও। ক্রিকেটার থেকে আম্পায়ার, সকলকেই গরম পোশাকে দেখা গিয়েছে। কুয়াশার কারণে টসের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেও কেন বার বার টস পিছিয়ে রাত ৯.৩০টা পর্যন্ত টানলেন আম্পায়াররা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁদের দাবি, রাত বাড়লে কুয়াশা বাড়াই স্বাভাবিক। তাহলে কিসের অপেক্ষা করছিলেন আম্পায়াররা?
উথাপ্পা বলেছেন, ‘বাকিদের কোনও কথাই কানে ঢুকছে না। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। রাত বাড়লে কীভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে? কোনওভাবেই কুয়াশা কমবে না। বরং আরও বাড়বে। তবুও আম্পায়াররা অপেক্ষা করে গেলেন।’
ভারতের ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ডিয়াকে সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। রাত বাড়তেই দর্শকরা মাঠ ছাড়তে শুরু করেন। অনেকে ফেরার আগে কাগজের কাপ মাঠে ছুড়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। ডেল স্টেন বলেছেন, ‘আমার মনে হয় একজন আম্পায়ারকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, হচ্ছেটা কী? ক্রিকেটাররা মাঠে নেমে খেলতে চায়। কেন ওদের অকারণে অপেক্ষা করানো হল।’
এদিকে, লখনউ ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বাকি সিরিজের আর একটি ম্যাচ। সেটি শুক্রবার আমেদাবাদে। ভারত সিরিজে এগিয়ে ২–১ ব্যবধানে। অর্থাৎ সিরিজ কোনওভাবেই হারছে না ভারত। জিতলে ৩–১ হবে। আর হারলে ২–২ হবে সিরিজ। তবে ডেল স্টেন কিন্তু ভারতকেই এগিয়ে রাখছেন। বলেছেন, ‘সিরিজটা বেশ জমেছে। আমার মনে হয় ভারতই শেষ ম্যাচটা জিতবে। আসলে টেস্ট সিরিজ জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা একটু বেশিই উত্তেজিত হয়ে পড়েছে। ভারত কিন্তু দুটি ম্যাচেই কর্তৃত্ব নিয়ে জিতেছে। তাই মনে হচ্ছে আমেদাবাদেও সূর্যরাই এগিয়ে থেকে নামবেন ও জিতবেন।’
