আজকাল ওয়েবডেস্ক: সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রথম দিনের নিলামের শেষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের চমক ভেঙ্কটেশ আইয়ার। বিপুল ২৩.৭৫ কোটি খরচ করে বাঁ হাতি অলরাউন্ডারকে তুলে নেয় কেকেআর। মেগা নিলামের আগে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু রবিবার ভেঙ্কটেশকে পেতে অলআউট ঝাঁপায় কলকাতা। কড়া টক্কর চলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গে। কেউই জায়গা ছাড়তে রাজি ছিল না। শেষপর্যন্ত বিপুল অর্থে ভেঙ্কটেশকে নাইটদের শিবিরে ফেরানো হল। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই। ভাবা হয়েছিল কেএল রাহুল বা ঋষভ পন্থের মধ্যে একজনের জন্য হয়তো ঝাঁপাবে কেকেআর। কারণ উইকেটকিপারের পাশাপাশি শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক দরকার ছিল। কিন্তু দু'জনের জন্য বিড করেনি কলকাতা। রাহুলকে নিয়ে শুরুতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও সহজেই পিছিয়ে আসে। এমনকী মহম্মদ সামিকেও নেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি। অন্যান্য বারের মতো এবারও ভেঙ্কি মাইসোরদের প্লেয়ার বাছাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
রবিবার মেগা নিলামের প্রথমদিন মোট সাতজন প্লেয়ারকে নিল কেকেআর। শুরুতে একটা দীর্ঘ সময় হাত গুটিয়ে বসে থাকে নাইট কর্তারা। তারপর অবশেষে ৩.৬ কোটি দিয়ে কুইন্টন ডি কককে কেনে কেকেআর। উইকেটকিপিংয়ের পাশাপাশি ওপেন করতে পারবেন প্রোটিয়া তারকা। ফিল সল্টকে ছেড়ে দিয়েছে নাইটরা। তাঁর জায়গায় আদর্শ কুইন্টন। দু'কোটির বেস প্রাইজে ফেরানো হয় রহমতুল্লাহ গুরবাজকে। দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে নেওয়া হয়েছে আফগান তারকাকে। মিচেল স্টার্কের পরিবর্তে নেওয়া হয় আনরিচ নোখিয়াকে। ৬.৫ কোটিতে প্রোটিয়া স্পিডস্টারকে কেনে কেকেআর। আগের মরশুমে চোটের জন্য ছন্দে ছিলেন না। ফিট থাকলে ইডেনের পিচে কার্যকরী হবেন নোখিয়া। দুরন্ত গতি এবং ডেথ ওভারে উইকেট তুলে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে প্রোটিয়া পেসারের। যার ফলে তাঁর সংযোজনে বোলিং বিভাগ শক্তিশালী হল নাইটদের। তিন কোটিতে ফেরানো হয় অঙ্গকৃশ রঘুবংশীকে। আগের বছরও কেকেআরে ছিলেন তরুণ ব্যাটার। বেশ কয়েকটা ভাল ইনিংস খেলেন। ফেরানো হল বৈভব অরোরাকেও। নিলামের শেষদিকে ১.৮ কোটিতে তাঁকে কেনে কেকেআর। একেবারে শেষ সেট থেকে তুলে নেওয়া হয় মায়াঙ্ক মারকান্ডেকে। মাত্র ৩০ লক্ষতে তরুণ স্পিনারকে নেয় কলকাতা। মেগা নিলামের আগে ছ'জন প্লেয়ারকে রিটেন করে কেকেআর। এই তালিকায় রয়েছেন সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিং, বরুণ চক্রবর্তী, রমনদীপ সিং এবং হর্ষিত রানা।
