আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (‌বিসিসিআইয়ের)‌ বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনলেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। 


দীর্ঘ ২১ বছর ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব সামলেছেন ব্রড। ১২৩ টেস্ট, ৩৬১ ওয়ানডে ও ১৩৮ টি–টোয়েন্টি ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন ব্রড। তাঁর নিশানায় এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাঁর অভিযোগ, ভারত বার বার স্লো বল করলেও তাঁকে নিষেধ করা হয়েছিল শাস্তি দিতে। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট ব্রডের বাবার এই অভিযোগে শোরগোল ফেলে দিয়েছে ক্রিকেটমহলে।

 

আরও পড়ুন:‌ আগামী বিশ্বকাপ খেলবেন মেসি?‌ ভক্তদের জন্য বড় বার্তা আর্জেন্টাইন মহাতারকার 


ক্রিস ব্রড নিজেও ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্রড বলেছেন, ‘‌একটা ম্যাচে ভারত তিন–চার ওভার পিছনে চলছিল। স্লো ওভাররেটের জন্য শাস্তি পেতে হত। ঠিক তখনই একটা ফোন এল। বলা হল একটু ক্ষমার চোখে দেখতে। শাস্তি দিতে নিষেধ করা হল। কারণ, দলটার নাম ভারত। তাই বাধ্য হয়ে আমাকেও বিষয়টা অন্য ভাবে দেখতে হল।’‌ পরের ম্যাচেও একই ঘটনা ঘটে বলে দাবি ব্রডের। তাঁর দাবি, ‘‌পরের ম্যাচেও একই ঘটনা হল। কিন্তু তার পরেও আমাকে বলা হল শাস্তি না দিতে। ওখানে রাজনীতি যুক্ত ছিল। প্রথম থেকেই। হয়তো ভারতীয় বোর্ড শক্তিশালী বলেই ওরা চায়, বাকিরা মাথা নিচু করে কাঠপুতুলের মতো চলবে।’‌ 


ব্রড আরও জানিয়েছেন, দীর্ঘ ২১ বছরের কেরিয়ারে মাঝেমধ্যেই রাজনীতি সামলাতে হয়েছে তাঁকে। তার পরেও তিনি নিজের কাজ করেছেন। তিনি চেয়েছিলেন, আগামী দিনেও ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব সামলাতে। কিন্তু গত বছর আর তাঁর চুক্তি বাড়ায়নি আইসিসি। ব্রড বলেন, ‘‌আমি চেয়েছিলাম আরও কয়েক বছর দায়িত্ব সামলাতে। এই ২০–২১ বছরে কম ঝক্কি তো সামলাইনি। এই কাজটা ভালবাসতাম। কত দেশ ঘুরেছি। আবার অনেক দেশে যাওয়া হয়নি। ভাল–খারাপ সব দেখেছি। এতগুলো বছর তো কম নয়।’‌ 

 

আরও পড়ুন:‌ চোট সারিয়ে কবে মাঠে ফিরতে পারবেন শ্রেয়স?‌ এল বড় আপডেট 


২০০৯ সালে পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার টিমবাসে যখন জঙ্গি হামলা হয়, তখন সেখানেই ছিলেন ব্রড। তিনিও সাক্ষী ছিলেন সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার। সেই কথা এখনও ভুলতে পারেননি তিনি। এখনও জোরে শব্দ শুনলে ভয় পেয়ে যান তিনি। কোথাও গেলেই নিরাপত্তা নিয়ে ভীষণ রকম চিন্তায় থাকেন। ওই ঘটনার পর থেকে তাঁর মানসিকতা অনেকটাই বদলে গেছে বলে দাবি ব্রডের।