আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি বিদেশি প্লেয়ারের রেকর্ড তাঁর নামে। সার্বিকভাবে তিন নম্বরে। তাঁর আগে আছেন ঋষভ পন্থ এবং শ্রেয়স আইয়ার। ২৫.২০ কোটিতে ক্যামেরুন গ্রিনকে কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ছাপিয়ে যান মিচেল স্টার্ককে। ২৪.৭৫ কোটিতে তাঁরই সতীর্থকে নিয়েছিল শাহরুখ খানের দল। কিন্তু মঙ্গলবার আবু ধাবিতে নিলামের শুরুতেই ঝড় তোলেন অজি অলরাউন্ডার। তাঁকে পেতে ঝাঁপায় একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি। শেষমেষ বাজিমাত কেকেআরের।‌

নাইটদের দলে নাম লেখানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই সমর্থকদের জন্য ভিডিও বার্তা দেন গ্রিন। জানান, ক্রিকেটের নন্দনকাননে নামার জন্য তর সইছে না তাঁর। ক্যামেরুন গ্রিন বলেন, 'আসন্ন আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অঙ্গ হতে পেরে আমি উল্লসিত। ইডেনে নামার জন্য উদগ্রীব। পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে চাই। আশা করছি আমাদের জন্য মরশুমটা খুবই ভাল যাবে। শীঘ্রই দেখা হবে। আমি কেকেআর।' 

স্টার্ককে বিশাল অঙ্কে সই করানোর পর সমালোচনার মুখে পড়ে কেকেআর কর্তৃপক্ষ। আইপিএলের শুরুতে সুবিধা করতে পারেননি তারকা ক্রিকেটার। কিন্তু নক আউট পর্বে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন। গ্রিনকে নিয়েও কি সেই ভয় থাকবে সমর্থকদের মনে? তেমন মনে করছেন না ভেঙ্কি মাইসোর। কেকেআরের সিইও জানান, আগে থেকেই গ্রিন তাঁদের পরিকল্পনায় ছিল। বরং, অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারের জন্য বিশাল অঙ্ক ব্যয় করার কোনও আক্ষেপ নেই।

ভেঙ্কি মাইসোর বলেন, 'আমরা খুবই খুশি। গ্রিন আমাদের ভাবনায় শুরু থেকেই ছিল। আমরা আশাও করছিলাম। যে মূল্যে পেয়েছি, তাতে আমরা খুশি। দর আরও বেড়ে গেলে আমরা কী করব সেই নিয়ে একটা চিন্তা সবসময় ছিল। আমরা উৎসাহী ছিলাম, তবে বদ্ধপরিকর ছিলাম না। যদি আমাদের মনে হত, এর প্রভাব আমাদের নিলামের বাকি অংশে পড়তে পারে, তাহলে আমরা ছেড়ে দিতাম। ভাগ্যবশত, আমাদের সাধ্যের মধ্যেই দর উঠেছে। আন্দ্রে রাসেল আমাদের পাওয়ার কোচ। এই পরিস্থিতিতে ও খুবই কার্যকরী হবে। একজন তরুণ অলরাউন্ডারকে পাওয়া সবসময় ভাল। ওর আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ব্যাট এবং বল নিয়ে কী করতে পারে আমাদের সবার জানা। তাই আমরা খুশি। তবে নিলামে আমরা ওর জন্য কতদূর পর্যন্ত যেতাম সেটা বলা সম্ভব নয়। আমাদের বাকি পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করত।' গ্রিনকে নিয়ে যে নিলামের টেবিলে ঝড় উঠবে সেটা আগেই জানা ছিল।