আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশনের ম্যাচে হাওড়া ইউনিয়নের সঙ্গে ড্র করল ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাব। বরং বলা ভাল, দুর্দান্ত খেলেও তিন পয়েন্ট এল না ইউকেএসসির কাছে। গোটা ম্যাচ জুড়ে দাপুটে ফুটবল খেলেও গোল এল মাত্র একটাই। যা সুযোগ এসেছিল তাতে অন্তত ছ'টা গোল হতে পারত। কিন্তু কোথাও সহায় দিল না ভাগ্য, কোথাও সুযোগ নষ্ট করলেন ফুটবলাররা। কিন্তু ৯০ মিনিট ধরে যে ছন্দে ইউকেএসসি খেলল তা রীতিমত প্রশংসনীয়।
যত দিন যাচ্ছে ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ছে। ছোট ছোট পাসে বিল্ড আপ ফুটবল খেলে যেভাবে অ্যাটাক হচ্ছে নিঃসন্দেহে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল। লোয়ার ডিভিশনে যেভাবে লং বলের ওপর ভরসা করে ফুটবল খেলা হয় ইউকেএসসি কোচ দীপক মণ্ডল সেটার ঘোর বিরোধী। এদিন ঘাড়ে চোটের কারণে প্রথম একাদশে ছিলেন না দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার সমীর প্রধান। অন্যদিকে, সুযোগ পেয়েছিলেন রাহুল দুয়ারি। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ছিল হাওড়া ইউনিয়নের বক্সে। একসময় কলকাতা লিগের অন্যতম এই দলের খেলা কাঁপাত ময়দানকে।
কিন্তু এদিন চলবে পড়ল না তার সিকিভাগও। ইউকেএসসির ঝোড়ো আক্রমণের বিপরীতে গিয়ে হঠাৎই প্রথমার্ধের শেষের দিকে এক গোলে এগিয়ে যায় হাওড়া। গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেও গোল আসছিল না। কখনও দূরপাল্লার শট, কখনও ক্রস, কখনও ডিফেন্স চেরা মাইনাস আসলেও জালে জড়ায়নি বল। দ্বিতীয়ার্ধেও ব্যাপারটা একই রকম। এদিন খেলা ছিল মাকড়দহের ক্লাবের মাঠে।
ইউকেএসসির খেলায় মুগ্ধ হয়ে মাঠ ভর্তি দর্শকরাও আফসোস করছিলেন গোল কেন আসছে না। বহু প্রতীক্ষিত সেই মুহূর্ত এল ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষে। ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন আকবর। এদিন ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন তিনি। হাতে আর তিনটে ম্যাচ রয়েছে। প্রত্যেকটাই কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে। কোনও রকম ঝুঁকি নয়। নিজেদের মত করে ফুটবলটা খেলে যেতে চান ফুটবলাররাও।
